নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ ইভিয়া। রোববার (৮ আগস্ট) দ্বীপটিতে দাবানলের ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে কমলা রং ধারণ করেছে আকাশ।
গত ৩ আগস্ট শুরু হওয়া এ দাবানল প্রাচীন বনগুলো গ্রাস করে ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের গ্রামগুলোতে। ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সতর্কতা জারি করে প্রশাসন। ইতোমধ্যে দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইভিয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে অসংখ্য বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যায় হাজার হাজার বাসিন্দা এবং পর্যটক। উত্তর ইভিয়া পৌরসভার মেয়র জিয়ানিস কন্টজিয়াস স্থানীয় একটি টিভিতে অগ্নিনির্বাপণ সহায়তার জন্য আবেদন করেছিলেন।
শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এলাকাটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত তিন দশকে সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহে গ্রিসে ছড়িয়ে পড়া এই দাবানল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট) যা খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে। তবে, গ্রিক এবং ইউরোপীয় কর্মকর্তারা এই গ্রীষ্মে ইতালি থেকে বলকান, গ্রিস থেকে তুরস্ক পর্যন্ত ব্যাপক দাবানলের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে সপ্তাহব্যাপী দাবানলে জ্বলছে উত্তর রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। শনিবার সেখানে ১২টি গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে রাশিয়ায় এ বছর প্রায় ১৫ মিলিয়ন একর বনভূমি দাবানলে পুড়ে গেছে।
সূত্র: এপি
বিএসডি/এমএম