নিজস্ব প্রতিবেদক,
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে শর্ত সাপেক্ষে খোলা রয়েছে সব উৎপাদনমুখি শিল্প কল-কারখানা, ব্যাংক-বীমা এবং শেয়ারবাজারসহ জরুরি পরিসেবা কার্যক্রম। এসব খাত সংশ্লিষ্ট কর্মজীবীরা অফিস চলাকালিন সময়ে বাসা থেকে বের হচ্ছেন। গণ পরিবহণ বন্ধ থাকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে মুলত রিকশায়।
বুধবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মৌচাক, মালিবাগ, রাজারবাগ ও শান্তিনগর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে-চাকুরিজীবীদের কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ছুটে চলা। কেউ হেঁটে, কেউবা রিকশায়, আবার অনেকে জরুরি সেবার গাড়িতে ছুটছেন। সকালের এই সময়টায় শান্তিনগর এলাকায় রিকশার জটলা দেখা গেছে।
বিধিনিষেধের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিধিনিষেধ চলাকালে- আইন শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা, যেমন- কৃষিপণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সমপর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস বা জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিকালসসহ অন্যান্য জরুরি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়ত করতে পারবে।
এছাড়াও পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক বা লরি বা কাভার্ড ভ্যান বা কার্গো ভ্যাসেল ও নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভুত থাকবে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে দেশের সব বিমান, সমুদ্র , নৌ ও স্থল বন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিস নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রয়েছে। কাঁচাবাজার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় চলছে।
ঢাকা/এসআই