নিজস্ব প্রতিবেদক
চিহ্নিত কয়েকজন ব্যক্তি বিদেশে বসে ক্রমাগতভাবে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বিদেশে বসে যারা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে- এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের কাছে তাদের কোনো তালিকা আছে কিনা- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে, বিদেশিদের কাছে অপপ্রচার চালায়, সেগুলো রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কার্যক্রম। সুতরাং কেউ যদি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কার্যক্রম করে বা যুক্ত থাকে, রাষ্ট্র তার পাসপোর্ট বাতিল করতে পারে।
সেই সিদ্ধান্ত গতকাল (বুধবার) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় নেওয়া হয়েছে। কারা এগুলো করছে, আমরা অনেকটা জানি। আরও কারা কারা এর সঙ্গে যুক্ত প্রয়োজনে তাদেরও তালিকা করা হবে, বলেন তিনি।
তালিকায় কারা আছেন- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি এখানে বলার বিষয় নয়। কারা এগুলো করছে, আমরা জানি, আপনারাও জানেন। অনেক লোক এ কাজগুলো করছে। কিন্তু চিহ্নিত কয়েকজন আছে, যারা ক্রমাগতভাবে এ কাজগুলো করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ানতানামো সামরিক কারাগারে বন্দীদের নির্যাতন করা হয়। এজন্য জাতিসংঘ এই কারাগার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গুয়ানতানামো একটি কুখ্যাত কারাগার। সেখানে গত ২০ বছর ধরে বন্দীদের বিনা বিচারে রাখা হচ্ছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বছরের পর বছর সেখানে বন্দীদের রেখে নির্যাতন করা হয়। এই কারাগার নির্যাতন করার জন্য, সেটি সারা বিশ্ব জানে।
মন্ত্রী বলেন, গতকাল (বুধবার) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা যে বিবৃতি বা আহ্বান জানিয়েছেন, সেটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে কীভাবে মানবাধিকার চরম লঙ্ঘিত হয়। যে দেশটি সারা পৃথিবীতে মানবাধিকার রক্ষা করার কথা বলে, তাদের দেশে কীভাবে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়? অনেকেই এ প্রশ্ন রেখেছে। যে দেশে মানবাধিকার চরম লঙ্ঘিত হয় সে দেশ আসলে মানবাধিকার নিয়ে বিশ্বব্যাপী কথা বলার অধিকার কতটুকু রাখে, এ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
বিএসডি/এসএ