আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জিনজিয়াং শাখার প্রধান শেন কুয়ানগুয়োকে অপসারণ করা হয়েছে। তার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দেশটির অর্থনীতির অন্যতম ‘পাওয়ারহাউস’ হিসেবে পরিচিত গুয়াংডং প্রদেশের গভর্নর মা জিনগ্রুইকে।
ধর্মীয় কট্টরপন্থা দমনের নামে জিনজিয়াংয়ের উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে সোমবার এক প্রতিবেদেন জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা সিনহুয়া নিউজ।
১৯৪৯ সালের কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর থেকে দেশটির রাজনৈতিক, শাসনতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক- এককথায় সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)। পার্টির জিনজিয়াং শাখার প্রধান হিসেবে শেন কুয়ানগুয়ো দায়িত্বপ্রাপ্ত হন ২০১৬ সালে।
অন্যদিকে, শেন কুয়ানগুয়ো জিনজিয়াংয়ের পার্টি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পর, ২০১৭ সালে চীনের উপকূলীয় প্রদেশ গুয়াংডংয়ের গভর্নর হন মা জিনগ্রুই।
জাতিসংঘের গভর্নর ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের হিসেব অনুযায়ী, চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর নারী-পুরুষ ও শিশুকে বন্দি রাখা হয়েছে এবং শ্রমদানে বাধ্য করা হচ্ছে। চীন অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, উইঘুর মুসলিমরা যেন ধর্মীয় কট্টরপন্থার দিকে ঝুঁকে না পড়ে, সেজন্য সেখানে তাদের বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
৬৬ বছর বয়সী শেন কুয়ানগুও সিপিসির সর্বোচ্চ বা নীতিনির্ধারণী ফোরাম পলিটব্যুরো কমিটিরও সদস্য। জিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের বিরুদ্ধে যেসব দমনমূলক নীতি নেওয়া হয়েছে তার জন্য মূলত শেনকেই দায়ী করা হয়। সম্প্রতি জাতিসংঘও তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) জিনজিয়াং থেকে পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ বিষয়ক আইনে স্বাক্ষর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আইনটিতে বলা হয়েছে, জিনজিয়াংয়ে উৎপাদিত পণ্যসমূহের সঙ্গে উইঘুর মুসলিমদের দাসত্বমূলক শ্রমদানের বিষয়টি যুক্ত, যা যুক্তরাষ্ট্র কখনও সমর্থন করে না।
বিএসডি/ এলএল