আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
আফগানিস্তান পুনর্গঠনের জন্য জাপানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তালেবান কর্তৃপক্ষ। কাবুল ও টোকিওর মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনে প্রত্যাশী তারা। টোকিওভিত্তিক কিয়োডো নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র সোহেল শাহীন বলেন, আমরা চাই জাপান আফগানিস্তান পুনর্গঠনে অংশ নেবে। তালেবান আফগানিস্তানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপানিদের সহযোগিতা চায়। আমরা তাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। আনাদোলু।
তালেবান মুখপাত্র সোহেল শাহীন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আশা করি জাপান খুব শীঘ্রই আফগানিস্তানে তাদের দূতাবাস খুলে দেবে। কাবুলে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত, যারা তালেবানের আগমনে পালিয়ে গেছেন তাদের প্রতি তালেবান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব আফগানির উচিত দেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের কাজে একত্রিত হওয়া।
এ সময় দৃঢ়তার সাথে তিনি বলেন, কাউকে আক্রমণকারী এবং মার্কিনিদের (এবং অন্যদের) সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে না।
জাপান যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে অন্যতম প্রধান সহায়তা প্রদানকারী দেশ। গত দুই দশক ধরে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সাক্ষী দেশটি। ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য সহায়তা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে টোকিও ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অবদান রেখেছে।
তবে গত ১৫ আগস্টের ঘটনার পর জাপান কাবুলে তার দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে তারা দেশটি থেকে নিজেদের কর্মী ফিরিয়ে নিচ্ছে।
এর আগে গত সোমবার আফগানিস্তানে কাজ করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানায় তালেবান। দেশটির উদ্দেশ্যে তালেবানের বার্তা ছিলো এমন, আফগানিস্তান অব্যবহৃত খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ। ইলেকট্রনিকস সামগ্রী প্রস্তুতের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসাবে কোরিয়া পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে আমাদের দেশের সাথে কাজ করতে পারে। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলিকে সংযুক্ত করে একটি অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবেও কাজ করতে পারি।
তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য আবদুল কাহার বালখি দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহ্যাপ নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেছেন।
বিএসডি/এএ