জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৬-২১ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপ। এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় দেশ ছেড়েছেন চার সাঁতারু (আসিফ রেজা, জুয়েল আহমেদ, সোনিয়া আক্তার ও সোনিয়া খাতুন) ও একজন কোচ কাম কর্মকর্তা (আমিরুল ইসলাম)। দুবাইয়ের নিয়মানুযায়ী বিমানবন্দরে ছয় ঘণ্টা আগে র্যাপিড করোনা টেস্ট করতে হয়। সেই টেস্টেও নেগেটিভ এসেছে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ যাচ্ছেন আগামীকাল। তিনি ১৭ ডিসেম্বর ফিনার কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করবেন।
বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে আসিফ রেজা ৫০ ও ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইল, জুয়েল আহমেদ ৫০ ও ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক, সোনিয়া আক্তার ৫০ ও ১০০ মিটার ফ্রি স্ট্রাইল, সোনিয়া খাতুন ৫০ ও ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে অংশ নেবেন। এই প্রতিযোগিতাগুলো হবে ২৫ মিটারের ছোট পুলে। আগামী মার্চে টোকিওতে আরেকটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে সেটি হবে ৫০ মিটার পুলে।
এই চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের পদকের সম্ভাবনা নেই। তবে সাঁতারুরা নিজের সেরা টাইমিং অতিক্রম করতে পারলেই ফেডারেশন সন্তুষ্ট, ‘দেশ ছাড়ার আগে সাঁতারুদের বলা হয়েছে টাইমিংয়ে উন্নতি করতে পারলে সম্মানীর ব্যবস্থা থাকবে।’
২০ নভেম্বর সৈয়দ শহীদ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে এই চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে ক্যাম্প শুরু হয়। সেই ক্যাম্পে ছিলেন ১৭ জন। এই ক্যাম্প দীর্ঘমেয়াদে চালানোর পরিকল্পনা ও অঙ্গীকার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফের, ‘আমরা এই ক্যাম্প অব্যাহত রাখব। আরো কয়েকজন জুনিয়রকে এই ক্যাম্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত রেখে বড় আকারে ক্যাম্প করার পরিকল্পনা আমাদের। আগামী সাফকে সামনে রেখে আমরা এই ক্যাম্প চালিয়ে যাব।’
তিন সপ্তাহের বেশি সময় অনুশীলন করে তারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। মিরপুরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য এই ক্যাম্পে কোচ হিসেবে ছিলেন বিকেএসপির প্রশিক্ষক মনিরুজ্জামান ও নৌবাহিনীর সাবেক প্রশিক্ষক মাহবুব।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অবশ্য কোচ হিসেবে যাচ্ছেন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। তিনি একই সঙ্গে কোচও। কুষ্টিয়ার আমলায় তার হাত অনেক সাঁতারু এসেছে। এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সফরে যাওয়া পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনই কুষ্টিয়া থেকে। এর মধ্যে একটি দম্পতিও রয়েছে।
বিএসডি/এসএ