প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বিশ্বে রাশিয়াই একমাত্র দেশ, যে করোনার টিকার প্রযুক্তি স্থানান্তর ও বিদেশে উৎপাদন প্রসারিত করতে প্রস্তুত রয়েছে।
গতকাল শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি আলোচনাকালে পুতিনের কাছ থেকে এ মন্তব্য আসে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাশিয়ার তৈরি করোনার টিকা ‘স্পুতনিক-ভি’ স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের প্রাথমিক অনুমতি পেয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। গত শুক্রবার দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) সেরামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমতি দেয়। এ অনুমতির ফলে পুনেতে সেরামের কারখানায় ‘স্পুতনিক-ভি’ টিকা উৎপাদন করা যাবে। ‘স্পুতনিক-ভি’ স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রাথমিক অনুমতি পাওয়ার এক দিন পর টিকার প্রযুক্তি স্থানান্তর নিয়ে পুতিন এ মন্তব্য করলেন।
ভারতের ফার্মা কোম্পানি ডা. রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ গত এপ্রিল মাসে রাশিয়ার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পায়। অন্যদিকে, রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) সহযোগিতায় ভারতের পানেসিয়া বায়োটেক ‘স্পুতনিক-ভি’ টিকার উৎপাদন শুরু করেছে।
পুতিন জানান, রাশিয়া বর্তমানে বিশ্বের ৬৬টি দেশে ‘স্পুতনিক-ভি’ টিকা বিক্রি করছে। একে তিনি রাশিয়ার জন্য একটা বড় বাজার হিসেবে উল্লেখ করেন।
‘স্পুতনিক-ভি’ টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সব অভিযোগ নাকচ করেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি প্রায় নিশ্চিত যে বাণিজ্যিক কারণে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু রাশিয়া মানবিক দিকটি অনুসরণ করছে।
ইউরোপে রাশিয়ার টিকার নিবন্ধন পেতে বিলম্বের মূলে প্রতিযোগিতা ও বাণিজ্যিক স্বার্থ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন পুতিন।
করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য চীনকে দোষারোপ করা নিয়েও কথা বলেন পুতিন। তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এই সংকটকে রাজনৈতিকীকরণ করা উচিত নয়।
গত বছরের আগস্টে রাশিয়া ‘স্পুতনিক-ভি’ টিকার অনুমোদন দেয়। বিশ্বে রাষ্ট্রীয় অনুমোদন পাওয়া প্রথম করোনার টিকা এটি। রাশিয়ার টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট এ টিকা তৈরি করেছে। এটির অর্থায়ন করেছে আরডিআইএফ।