ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ লিটন দাস বাদ পড়েন পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে। তবে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের জন্য ঘোষিত দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। লিটনের ব্যাটিং দৈন্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে অধিনায়ক মুমিনুল হক ব্যাট করলেন সতীর্থের হয়ে। জানালেন, টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি গুলিয়ে ফেলবেন না।
২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তার আগে আজ (বৃহস্পতিবার) সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, ‘লিটনের যেটা, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি কিন্তু পার্থক্য আছে। আপনি যদি বারবার টেস্টের মাঝে টি-টোয়েন্টি নিয়ে আসেন তাহলে আরও কঠিন হবে আমার জন্য। আমার কাছে মনে হয় ও নিজে নিজেই পার করে ফেলেছে এত দিনে।’
সঙ্গে যোগ করেন মুমিনুল, ‘আপনি যদি গত এক বছর তার টেস্ট পারফরম্যান্স দেখেন প্রায় ৪৫-৫০ এর মতো গড়ে রান করেছে। আমার কাছে মনে হয় না তার টি-টোয়েন্টি ব্যর্থতা এখানে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। দলের সবাই ওকে সাপোর্ট করছে। মেন্টালি সে ফ্রেশ আছে আল্লাহর রহমতে।’
মুমিনুল অবশ্য নেহায়েত খারাপ বলেননি। টেস্টে শেষ ৬ ইনিংসে শতকের দেখা না পেলেও পঞ্চোশ ঊর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন তিনটি। লিটনকে নিয়ে ভাবনা একপাশে রাখলেও ভাবতে হচ্ছে বোলিং বিভাগ নিয়ে। চোটে জর্জরিত বোলাররা। মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলামের সঙ্গে ছন্দে থাকা তাসকিন আহমেদও ছিটকে গেছেন। তবে এনিয়ে চিন্তিত হলেও এবাদত, রাহী, তাইজুলদের ওপর আস্থা রাখছেন মুমিনুল।
অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘মুস্তাফিজ লাস্ট ম্যাচ খেলেছে এক বছর আগে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাসকিন ও শরিফুল ছিটকে গেছে। ইনজুরি হলে তো আসলে কিছু করার থাকে না। ব্যাকাপ খেলোয়াড় যারা আছে রাহী আছে, এবাদত আছে তারা কিন্তু নিয়মিত টেস্ট খেলছে। তারপর খালেদ আছে। যারা আছে তারা কিন্তু মোটামুটি অভিজ্ঞ।’
সঙ্গে যোগ করেন মুমিনুল, ‘রাহী গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমাদের সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়া বোলার। এবাদতও আল্লাহর রহমতে ভালো বল করেছে আমরা যখন লাস্ট জিম্বাবুয়ে সফর করেছিলাম। মেহেদী আছে, তাইজুল আছে। বোলার যারা আছে তাদের নিয়ে আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী।’
বিএসডি/এসএসএ