অনলাইন ডেস্ক
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, রূপকল্প ২০৪১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ (২ অক্টোবর) উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) কর্তৃক ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উৎপাদনশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে উৎপাদনশীলতা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উৎপাদনশীলতা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নৈপুণ্য এবং প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলীর গুণগতমানের সঙ্গে উৎপাদনশীলতা অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। এজন্য কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ প্রতিটি সেক্টরে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি সব শিল্প ও সরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদযাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছে উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব যথাযথভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সেজন্য প্রতিটি অর্থনৈতিক সেক্টরে উৎপাদশীলতা বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
বিএসডি/এমএম