আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখল ও ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ পরিকল্পনাকে অযৌক্তিক বলে সমালোচনা করেছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই প্রস্তাবের জন্য ওয়াশিংটনের ওপর ডাকাতির অভিযোগ তুলেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি বা কেসিএনএ অভিযোগ করেছে, ফিলিস্তিনিদের শান্তি ও নিরাপত্তার সামান্যতম সম্ভাবনাও ওই প্রস্তাবের কারণে বিলীনের হুমকিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিস্ফোরক ঘোষণায় পুরো বিশ্ব এখন মারাত্মকভাবে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে।
ওই প্রতিবেদনের কোথাও সরাসরি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
কয়েক দিন আগে আকস্মিকভাবে গাজাবাসীদের উচ্ছেদ করে সেখানের দখল নেওয়ার এক পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তার দাবি অনুযায়ী, যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিকে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা হিসেবে গড়ে তুলতে চান।
উল্লেখ্য, রিভিয়েরা বলতে দক্ষিণ ফ্রান্স ও উত্তর ইতালির একটি অঞ্চলকে বোঝানো হয়। এই এলাকা মনোরম আবহাওয়া, সৌন্দর্য এবং বিলাসবহুল অবকাশযাপন কেন্দ্রের জন্য বিখ্যাত।
কেসিএনএ-এর প্রতিবেদন অবশ্য গাজা বিষয়েই ট্রাম্পের সমালোচনা করে ক্ষান্ত হয়নি। গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খালের দখল নেওয়ার হুমকি এবং গালফ অব মেক্সিকোর নাম বদলে গালফ অব আমেরিকা করার সিদ্ধান্তের জন্যও ট্রাম্পের সমালোচনা করেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রকে আগ্রাসী ডাকাত অভিহিত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের উচিত তাদের অরাজক দিবাস্বপ্ন ঝেড়ে ফেলে অন্যদেশের সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
প্রথম মেয়াদে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে অপ্রত্যাশিতভাবে বৈঠক করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই নিজেদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার কথা সবাইকে বলে আসছেন তিনি।
সম্প্রতি কিমের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তবে পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ নিয়ে খুব কমই মন্তব্য করেছে। বরং তারা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে সমালোচনা অব্যাহত রেখেছে।
উত্তর কোরিয়া প্রায়শই আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা করে। গাজার পরিস্থিতি নিয়েও তারা সরব থেকেছে এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সহযোগী’ বলে দায়ী করেছে।