আসন্ন ঈদুল আজহায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় নয়টি অস্থায়ী পশুরহাট বসানোর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গাবতলীর স্থায়ী পশুরহাটসহ এবার মোট ১০টি হাটে পশু কেনাবেচা হতে পারে।
রোববার (১৩ জুন) ডিএনসিসির জনসংযোগ ও সম্পত্তি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।
ডিএনসিসি জানায়, পূর্ব নির্ধারিত নয়টি পশুরহাটের দু’টিতে পরিবর্তন এসেছে।
আগের হাটগুলো থেকে বাদ পড়েছে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠের হাট। আর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম অংশ এবং ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের ফাঁকা জায়গা একত্রে করে একটি হাট করা হয়েছে।
আর নতুন করে দু’টি হাটের প্রস্তাবনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো- মোহাম্মদপুর বছিলায় অবস্থিত ৪০ ফুট কাঁচা রাস্তা সংলগ্ন রাজধানী হাউজিং, স্বপ্নধারা হাউজিং ও বছিলা গার্ডেন সিটির খালি জায়গা এবং ডিএনসিসির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড আওতাধীন ৩০০ ফুট সড়ক সংলগ্ন উত্তর পাশি সালাম স্টিল মিল ও যমুনা হাউজিং কোম্পানি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন খালি জায়গা।
এগুলো ছাড়াও প্রস্তাবনায় থাকা বাকি হাটগুলো হলো- বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই সেকশন ৩-এর খালি জায়গা, উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমের অংশ এবং ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের ফাঁকা জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় অবস্থিত বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, ভাটারা (সাইদনগর) পশুরহাট, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরখান মৈনারটেক শহীদনগর হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গা।
এদিকে নতুন দু’টি প্রস্তাবিত হাটের ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তিত প্রকাশ করেছে ডিএনসিসি। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক স্বাক্ষরিত ওই দরপত্রে হাট দু’টির অফেরতযোগ্য দরপত্রমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিটির জন্য পরিচ্ছন্ন ফি ধরা হয়েছে দেড় লাখ টাকা।