নিজস্ব প্রতিবেদক
গত কয়েক দিনের তুলনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কমেছে রোগীর চাপ। বর্তমানে করোনা ইউনিটে শয্যা ফাঁকা রয়েছে ১০৩টি। গত কয়েক সপ্তাহ থেকে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় রোগীর চাপ কমছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢামেকের করোনা ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে অধিক সংখ্যক মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা ও দফায় দফায় বিধিনিষেধ দেওয়ার কারণে সংক্রমণ কমছে। তাছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে ছাড় পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকালে ঢামেক হাসপাতাল-২ এর জরুরি বিভাগের ডিউটিরত চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এখানে আগের তুলনায় রোগীর চাপ অনেক কমেছে। আগে অধিক রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হতো চিকিৎসকদের। বর্তমানে সে অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে শয্যা সংকটের কারণে অনেক রোগীকে অন্যত্র পাঠানো হতো। এখন আর এমন চাপ নেই। রোগী আসলে আমরা এখানে ভর্তি নিতে পারছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১২ জন রোগী মারা গেছেন। ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন ৩১ জন। বর্তমানে রোগী ভর্তি আছেন ৪৭৯ জন। শয্যা ফাঁকা রয়েছে ১০৩টি।
ঢামেক হাসপাতাল-২ এর ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমাদের এখানে রোগী আসছেন তবে সেটা আগের তুলনায় অনেক কম। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ছুটি নিয়ে চলে গেছেন ৩১ জন।গতকাল ১১০টি শয্যা ফাঁকা ছিল। এখন রোগী সুস্থ হয়ে ফেরার সংখ্যা বাড়ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, আমাদের এখানে বর্তমানে শয্যা ফাঁকা ১০০র বেশি। রোগীর চাপ সেভাবে নেই। রোগী সুস্থ হয়ে ফেরার সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহ থেকে রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমছে। রোগীর চাপ সামাল দিতে আগে ধারণক্ষমতার বেশি শয্যা স্থাপন করতে হয়েছিল। আগে রোগী আসত একের পর এক। চাপ সামাল দিতে চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হিমশিম খেতে হতো। এখন আর এমনটা নেই।
তিনি আরও বলেন, একটি শয্যার জন্য অনেক তদবির আসত আমার কাছে। আমরা রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতাম। কিন্তু যখন আর শয্যা ফাঁকা পাওয়া যেত না তখন অন্য জায়গায় যাওয়ার পরামর্শ দিতাম।
বিএসডি/এমএম