বর্তমান সময় ডেস্কঃ
তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এসময় এক হামলাকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তুলে নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে কুমিল্লা নগরীর টমসম ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আটককৃত ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আটককৃত মো. রাকিব দেবিদ্বার পৌর এলাকার মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসএম আরিফুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে কুমিল্লা শহর থেকে শিক্ষার্থী বহন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল বাস নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় এলে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে বাসের চালক ও হেলপারের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাসের হেলপার ও চালককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এ ঘটনার পরদিন বুধবার রাতে আগের দিনের ঘটনার বদলা নিতে সংঘবদ্ধ হয়ে কুমিল্লা থেকে বরুড়া রুটে চলাচলকারী একটি বলাকা বাস ভাড়া করে কুবির সেই বাসটি টমছমব্রিজ এলাকায় এলে ব্যারিকেড দেয়। বাসটি থামালে বলাকা বাস থেকে ২০-২৫ জন লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে কুবির বাসটিতে উঠে শিক্ষার্থীদের বাসটি খালি করে দিতে বলেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বাস থেকে না নামলে কুবির সেই বাসটিতে হামলা করে তারা। এসময় তাদের বাধা দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হন। ততক্ষণাৎ হামলাকারী একজনকে ধরে কুবির সেই বাসে করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশে খবর দিয়ে হামলাকারী রাকিবকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
হামলায় আহতরা হলেন, অর্থনীতি বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ মাসুম, লোকপ্রশাসন বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের মাহমুদ সাকিব, আবদুল বাসেদ, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আদনান হোসেন সাহেদ, রিফাতুল ইসলাম, আতিক রহমান। এছাড়া বাসের হেলপার জহিরুল ইসলাম ও বাস ড্রাইভার সুমন দাস হামলাকারীদের দ্বারা আহত হয়েছেন।
ফাঁড়ির ইনচার্জ এসএম আরিফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় পুলিশ। পরে আটককৃত ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে সে আমাদের হেফাজতে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আটককৃত ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিএসডি/আরপি