কৃষি ডেস্ক,
বছরজুড়ে বাগানে থাকে আম ও মুকুলের খেলা। কোনো গাছে মুকুল, তো কোনো গাছে আম। আবার পরিপক্ক আমের সাথে গাছে থাকে নতুন মুকুলও। এমন ভাবে সারা বছরে তিন বার ‘কাঠিমন’ জাতের আম পান চাষি রফিকুল ইসলাম। তার ‘কাঠিমন’ জাতের আমের বাগান রয়েছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত রাজশাহীতে আম উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মেয়াদকাল ধরা হয়। কিন্তু ব্যতিক্রম ‘কাঠিমন’ আমের ক্ষেত্রে। বছর জুড়ে মিলবে ‘কাঠিমন’ আম। বর্তমানে আমের মৌসুম শেষ।
তবে ‘কাঠিমন’ জাতের আম বাজারে মিলছে। চাহিদা বেশি। প্রতি মন আমের দাম ৮ হাজার টাকা। তাহলে প্রতি কেজিতে দাঁড়ায় ২০০ টাকা। কেজিতে ৪ থেকে ৫টি আম ধরে।
রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই বছর আগে দিনাজপুর থেকে ‘কাঠিমন’ জাতের আমের চারা সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি আমের চারার দাম পড়েছিল ১৮০ টাকা। এ সময় তিনি ১ হাজার ১০০টি আম গাছের চারা তার ২৫ বিঘা পুকুর পাড়ে রোপন করেন। গাছে পরের বছর থেকেই মুকুল আসতে শুরু করে।
তিনি আরও জানান, ‘কাঠিমন’ জাতের আমের চারা লাগানোর এক বছর পরেই মূলত ফল আসতে শুরু করে। গত বছর গাছের ওয়েট (ওজন) ও হাইট (উচ্চতা) কম ছিল। তাই বেশি আম ধরেনি। এ বছর প্রতিটি গাছে তিন থেকে পাঁচ কেজি করে আম আছে। আমি এ বছর চারবার আম পাবো।
রফিকুল বলেন, এটি মৌসুমি জাতের আম নয়। এই আম সুস্বাদু ও মিষ্ট। বাজারে চাহিদাও বেশি। এই আম অনেকটাই কাঁচামিঠা আমের মতো। কাঁচা অবস্থাতেও খাওয়া যায়। তবে কাঁচামিঠা আম পাকলে তেমন স্বাদ নেই, কিন্তু ‘কাঠিমন’ আম মিষ্টি হয়।
রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাসান ওয়ালিউল্লাহ জানান, থাইল্যান্ড থেকে আসা এই আম নিয়ে আমাদের এখনও গবেষণা চলছে। সরাসরি ফার্মাসির মাঠে চলে গেছে আমের গাছ। আমরা এবার দেখছি, চেষ্টা করছি- রোগ বালায় ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ কেমন।
বিএসডি/এএ