পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দাফনের ছয় সপ্তাহ পর ময়নাতদন্তের জন্য ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইমরান গাজীর (২৬) মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে গ্রামের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আহসান কবির।
নিহত ইমরান গাজী মঠবাড়িয়া পৌর এলাকার সবুজনগর মহল্লার মৃত মান্নান গাজীর ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সবুজ নগর মহল্লার আউয়াল শরীফের নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে গত ১১ অক্টোবর দুপুরে ফ্যান লাগানোর রডের সঙ্গে ইমরানকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ায় নিহতের ভাই আব্দুল্লাহ গাজী বাদী হয়ে ১৮ অক্টেবর ৫ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিচারক মো. কামরুল আজাদ মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন। ইমরান গাজী পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন।
পিরোজপুর পিবিআইয়ের পরিদর্শক আহসান কবির বলেন, আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ হাসান ও ডা. প্রীতম কুমার পাইকের উপস্থিতিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমি মরদেহ উত্তোলনের দায়িত্বে ছিলাম। উত্তোলনের পরে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, ইমরানের পরিবার আমার কাছে কোনো মামলার জন্য আসেনি। মৃত্যুর তিন দিন পর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা আসলে ইমরানের পরিবার আদালতে হত্যা মামলা করে।