নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলের জন্য ন্যায্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন। একইসঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে উপকূলের জীবন-জীবিকা রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স ও ফেইথ ইন অ্যাকশন আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগামী নভেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে বার্ষিক তহবিল বাড়ানোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। প্রতিবছর বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নির্মাণ এবং উপকূলের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আগামীতে পদক্ষেপ নিতে হবে। আগামীতে সরকারের প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সমস্বর এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অভিযোজন প্রক্রিয়া বাড়াতে হবে। সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান করতে হবে। এজন্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দিতে হবে। এই ক্ষতিপূরণ আদায়ে সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মিহির বিশ্বাস, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল বাবুল, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, ফেইথ ইন অ্যাকশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য, সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা (পাস) চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, সচেতন সংস্থার সাকিলা পারভীন, লিডার্সের পরিতোষ কুমার বৈদ্য, উন্নয়ন কর্মী সানজিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বিএসডি /আইপি