পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম দিন নামের পাশে ৬৪ রান নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন মুমিনুল হক। আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই সেটিকে শতকে পরিণত করলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি করতে ২২৪ বল খরচ হলো তাঁর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি তাঁর চতুর্থ সেঞ্চুরি এবং দেশের বাইরে প্রথম। এত দিন ঘরের মাঠে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি থাকলেও দেশের বাইরে সেঞ্চুরি না থাকা ক্রিকেটারদের তালিকায় মুমিনুল ছিলেন শীর্ষে। দেশের বাইরে সেঞ্চুরি না থাকা ক্রিকেটারদের তালিকায় আছেন রোহিত শর্মা, চান্দু বরদে, মারনেস লাবুসেন ও স্ট্যানলি জ্যাকসন আছেন।
সেঞ্চুরির সঙ্গে অনেক সমালোচনারও জবাব দিলেন মুমিনুল। ঘরের মাঠে মুমিনুলের টেস্ট গড় ৫৬.৩৯। কিন্তু দেশের বাইরে সম্পূর্ণ উল্টো। ১৮ টেস্টে ৩৪ ইনিংসে সেই গড়ই মাত্র ২৪.৬০। ৭টি ফিফটি ছিল, কিন্তু ছিল না কোনো সেঞ্চুরি। এবার সেই সেঞ্চুরির খরা শেষ হলো। নাজমুল হোসেনকে নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটিও গড়েছেন মুমিনুল। কাল ১৫০ রানের জুটি গড়ে আজ সকালে সেটিকে ২০০ রানের ঘরের নিয়ে যান। ডাবল সেঞ্চুরির জুটিতে বড় অবদানটা ছিল গতকাল টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা নাজমুলেরই। মুমিনুল খেলেছেন পার্শ্ব নায়কের মতোই।
টেস্টে ফিফটি করলে সেটিকে সেঞ্চুরি রূপ দেওয়ায় মুমিনুলই বাংলাদেশে সেরা। পরিসংখ্যানের দিক থেকে মোহাম্মদ আশরাফুল কিছুটা এগিয়ে থাকলেও সেঞ্চুরি-ফিফটির সংখ্যা ও ইনিংসের দীর্ঘায়ুর হিসেবে মুমিনুলই এগিয়ে আছেন।
৬১ টেস্টে ১১৯ ইনিংস খেলে আশরাফুলের সেঞ্চুরি ৬টি, ফিফটি ৮টি। আশরাফুলের ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করার হার ৪২.৮৬। মুমিনুল মাত্র ৪৩ টেস্টে ৭৯ ইনিংস খেলেছেন। সেঞ্চুরি করেছেন ১০টি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কাল করা ফিফটি মুমিনুলের ১৪তম টেস্ট ফিফটি। ফিফটিকে সেঞ্চুরি বানানোর হার ৪১.৬৭।
সংখ্যাই প্রমাণ করে, টেস্টে ফিফটি করলে সেটিকে মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে পরিণত করা নতুন কিছু না। মুমিনুলের মতোই ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করার হার কুমার সাঙ্গাকারা, বীরেন্দর শেবাগদের। আজ নিজেকে নতুন করেই সবার সামনে তুলে ধরলেন মুমিনুল।