বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’। প্রায় ৬ হাজার বর্গফুট (৬০ হাজার স্কয়ার মিটার) বিস্তৃত এই পার্কটি করা হয়েছে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের মধ্য বাউশিয়া গ্রামে। গত শুক্রবার দর্শক ও দর্শনার্থীদের জন্য পার্কটি উন্মুক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে মাত্র ৪৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পার্কটিতে সব বয়সী মানুষের জন্য বৈচিত্র্যময় আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তিনটি ওয়াটার স্লাইড ট্যুর, একটি ওয়েভ পুল, ফ্লোরাইডার ডাবল, ভলকানো শো (আগ্নেয়গিরি শো), লেজি রিভার, বাচ্চাদের জন্য একটি আলাদা জোন, একটি কৃত্রিম নদীসহ সর্বমোট ১৭টি রাইড রয়েছে।
মানা বে ওয়াটার পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে বড়দের টিকেট ৬০০০ (উচ্চতা ৪ ফুটের ওপরে) এবং শিশুদের ৩০০০ টাকা (৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতা) নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। উচ্চতায় ৩ ফুটের নিচের শিশুরা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে। এই টাকায় ওয়াটার পার্কে প্রবেশসহ দিনব্যাপি আনলিমিটেড ১৭টি রাইড এক্সপ্লোর করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
গত শুক্রবার আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাসুদ দাউদ আকবানি পার্ক উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যের উপহাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সম্পূর্ণ ব্রিটিশ বিনিয়োগে এসিএস টেক্সটাইলের মালিকানায় পরিচালিত মানা বে দর্শনার্থীদের অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিতে ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রকল্পটিকে বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে স্বনামধন্য রাইড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হোয়াইটওয়াটার।
এই উদ্যোগের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ওভাইস আকবানি, সাশিন হাসান ও চেয়ারম্যান মাসুদ দাউদ আকবানি, যাদের দূরদর্শী নেতৃত্ব এসিএস টেক্সটাইলকে পোশাক শিল্পখাতের শীর্ষ পর্যায়ে উন্নীত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি এবার প্রবেশ করেছে অ্যাকোয়া অ্যাডভেঞ্চারের জগতে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মানা বে’র স্বত্বাধিকারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওভাইস আকবানি বলেন, মানা বে’র লক্ষ্য হলো ওয়াটার পার্কের চেয়েও বেশি কিছু হয়ে ওঠা। এটি এমন একটি প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠান হতে চায়, যেখানে সবাই একই সঙ্গে কাজ, খেলাধুলা ও জীবনের উচ্ছ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারে।
পার্কটি সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য জানা যাবে মানা বে’র 09606-889999 নম্বরে। এছাড়াও ইমেইল করা যাবে info@manabay.com অ্যাড্রেসে। এছাড়াও তাদের ওয়েবসাইটে https://www.manabay.com বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
বিএসডি/এমএম