নিজস্ব প্রতিবেদক:
সব রকমের ভোজ্যতেলের দাম খোলা বাজারে আবারও বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষজন। প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে তাদের। এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্রেতারা।
সোমবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বোতলজাত প্রতি লিটার তেল ২ থেকে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫৪-১৫৫ টাকায়। আর খোলা তেল লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪৪-১৫০ টাকা দরে। পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগেও খোলা বাজারে পামওয়েল বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা থেকে ১৩৬ টাকায়। গত বছর একই সময়ে এ তেল বিক্রি হয়েছিল ৮৮-৯৩ টাকা দরে। এক বছরের ব্যবধানে দামে বেড়েছে ৪৫-৫০ টাকা। বছরের ব্যবধানে একইভাবে দাম বেড়েছে বোতলজাত ও খোলা সয়াবিনের।
কারওয়ান বাজারে আসা ক্রেতা মমতাজ উদ্দিন বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে তেল কিনেছি ১৫০-১৫২ টাকা লিটারে। আজ কিনতে হয়েছে ১৫৫ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা, মরিচের কেজি ১৮০-২০০ টাকা, চালের কেজি ৭০ টাকা। প্রতিটি জিনিসেরই দাম বাড়ছে। কথা নেই, বার্তা নেই ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম বাড়াচ্ছে। আমরা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে আছি।
হাতিরপুল বাজারে কথা হয় ক্রেতা আজহারুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, করোনায় আমাদের আয় কমে গেছে। যাতায়াত ও ঘর ভাড়ার টাকা যোগাড় করতেই কষ্ট হচ্ছে। এ সময় নতুন করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। সরকারের উচিত জনগণের কথা বিবেচনায় রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা।
নিউমার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার দোহাই দিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো তেল আমদানি করছে, তারা তেলের দাম বাড়াচ্ছে। আমরা বেশি দামে এনে তো আর লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে পারি না। আমাদের তো লাভও হচ্ছে না। অথচ ব্যবসা ধরে রাখতে কম করে তেল রাখছি। লাভ যা করার কোম্পানিগুলো করছে।
বিএসডি / আইকে