নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে ৩ হাজার ৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২৪১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৮৩৯ জন। উপস্থিতির হার ছিল ৭২.৭৬ শতাংশ এবং অনুপস্থিতির হার ছিল ২৭.২৪ শতাংশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।
অধ্যক্ষ সেলিম বলেন, কোনো কেন্দ্র থেকে অপ্রীতিকর খবর আমরা পাইনি। আমরা প্রত্যাশা করি সামনের পরীক্ষাগুলোও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করলেও ভোগান্তির ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে অনেকের।
মেজবাউল হোসেন নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, গাড়ি না থাকায় রিকশায় আসতে হয়েছে। ফলে বিভিন্ন মোড়ে যানজটে পড়ে ১৫ মিনিট দেরিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছি। আমার হলেও অনেক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
জিন্নুরাইন নামে আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, গাইবান্ধা থেকে পরীক্ষা দিতে ঢাকায় এসেছি। ধর্মঘটের আগেই রওনা হওয়ায় সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছাই। কিন্তু এখন বাড়িতে কীভাবে যাব তা জানি না। এমন ভোগান্তির কোনো মানেই হয় না।
তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষা চালিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান।
তিনি বলেন, এখন যদি পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয় সেটি আরেকটি ভোগান্তি নিয়ে আসবে। কারণ শিক্ষার্থীরা মনস্তাত্ত্বিকভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এই প্রস্তুতি একটা জাতিকে উপরের দিকে নেয়। এমন প্রতিকূলতা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সামনের দিকে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, আগামী শনিবার (৬ নভেম্বর) সাত কলেজের বিজ্ঞান ইউনিট এবং ১৩ নভেম্বর (সোমবার) কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএসডি / আইকে