মল্লিক মনিরুল ইসলাম, নড়াইল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনে এক লাখ ৩০ হাজার ৪৪৭ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি এম কবিরুল হক মুক্তি। এ নিয়ে টানা চতুর্থবার সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলেন তিনি। অপরদিকে নড়াইল-২ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দলটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। এ আসনে কেউই তার ধারে কাছে নেই অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, নড়াইল ১ আসনে ১১০টি কেন্দ্রে কবিরুল হক পেয়েছেন এক লাখ ৩৪ হাজার ২০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. মিল্টন মোল্লা লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৭৫৮ ভোট। এ আসন থেকে কবিরুল হকের স্ত্রী চন্দনা হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। যদিও প্রতীক বরাদ্দের একদিন পর স্বামীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তবুও তিনি ঈগল প্রতীকে ৮৮১টি ভোট পেয়েছেন। এ আসনে নৌকা প্রতীকের বি এম কবিরুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মো. মিল্টন মোল্লা, জাতীয় পার্টির (জেপি) শামীম আরা পারভীন,তৃণমূল বিএনপির শ্যামল চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী কবিরুল হকের স্ত্রী চন্দনা হক ও শাহদাত হোসেন।
অপরদিকে নড়াইল-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৬৫ হাজার ৭২৯ জন। এর মধ্যে ভোটাধিকারের প্রয়োগ করেছেন দুই লাখ ৩২ হাজার ১১ জন। তার মধ্যে তিন হাজার ৪২৫টি ভোট বাতিল হয়েছে। বৈধ ভোটের মধ্যে এক লাখ ৮৯ হাজার ১০২টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা মাশরাফি। এ আসনের অন্য সাতজন প্রার্থীর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী শেখ হাফিজুর রহমান চার হাজার ৪১টি, জাতীয় পার্টির খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ এক হাজার ৯০৯টি, এনপিপির মনিরুল ইসলাম ৫৮০টি, গণফ্রন্টের লতিফুর রহমান ৫৮২টি, ইসলামী ঐক্যজোটের মাহবুবুর রহমান ১ হাজার ৮৫৩টি, স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর ইসলাম এক হাজার ৩৬৩টি এবং সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু পেয়েছেন ৩৫৬টি ভোট।
এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান ভোটগ্রহণের দিন বেলা ২ টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে দাবি করে ভোট বর্জন করেন। এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু মাশরাফিকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
এমএমআই