নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান কালো টাকা ছড়াছড়ির অভিযোগ । ১৭ অক্টোবর (সোমবার) নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচন। এরই মধ্যে নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মধ্যেই কালো টাকা ব্যয়ের অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।
প্রভাবশালী রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধিরা ভোটারদের ডেকে নিয়ে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পাঁচটি পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলর এবং ৭১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নিয়ে মোট ভোটার ১হাজার ৩ জন। ছয়টি উপজেলার ছয়টি ভোটকেন্দ্রের ১৩টি বুথে সকাল ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ প্রায় শেষ। ঢাকার নির্বাচন কমিশন ভবনে বসে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানা গেছে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী তিনজন। সরকারদলীয় আওয়ামীলীগ প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূঞার প্রতীক কাপ-পিরিচ, বিদ্রোহী প্রার্থী ইসরাত উদ্দিন আহমেদ মনির হোসেন ভূঞার আনারস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদ জাহান লিটু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী ইসরাত উদ্দিন আহমেদ মনিরকে।
বিদ্রোহী প্রার্থী ইসরাত উদ্দিন আহমেদ মনির বলেন, এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে কিনা, এ নিয়ে ভোটাররা চরম শঙ্কায় আছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।’আমি ৬ টি উপজেলার উন্নয়ন করেছি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদ জাহান লিটু বলেন, ‘আমি কালো টাকা ছাড়াই নির্বাচন করছি। যারা রাতের অন্ধকারে টাকা ছড়িয়ে নির্বাচিত হতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য কখনোই ভালো থাকে না। শুধু টাকা নয়, নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করারও চেষ্টা হচ্ছে।’
এদিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও রায়পুরা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং সাবেক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, ‘নির্বাচন নিলামে উঠেছে। কেউ ১০ হাজার দেয়, কেউবা ২৫ হাজার দেয়; যে বেশি দেয়, ভোট তার বাক্সেই যাবে। আসলে কোনো রাজনীতি নাই, গণতন্ত্রের চৌদ্দটা বাজাইছে। একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেছে।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম বলেন, ‘কোনো সংসদ সদস্য ভোটারদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে পারেন না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি।’
রবিউল আলম আরও বলেন, ‘জেলার ছয়টি উপজেলায় ছয়টি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩টি বুথ ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি বুথেই আইপি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।’
বিএসডি/এফএ