নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাফ নদ থেকে বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবরাং ইউপির চেয়ারম্যান নুর হোসেন কথা বলতে রাজি হননি। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা প্রথম আলোকে জানান, নাফ নদ থেকে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে কেউ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের আবেদন কিংবা লিখিতভাবে জানায়নি। তবে বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকার লোকজন দপ্তরে এসে অভিযোগ করেছেন। পরিবেশের ক্ষতি করে কারা বালু উত্তোলন করছেন, তা দেখতে তিনি ঘটনাস্থল যাবেন। তারপর দেখবেন কী করা যায়।
বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চায়না হারবালের স্থানীয় ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মারুফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে না। নাফ নদের ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার দূর থেকে তাঁরা বালু উত্তোলন করছেন। এতে পরিবেশেরও তেমন ক্ষতি হচ্ছে না। তাহলে দ্বীপবাসী আন্দোলন ও মানববন্ধন করছেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
পাউবো কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, বাঁধের কাছাকাছি সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে কি না এবং বালু উত্তোলনের ফলে বাঁধের ক্ষতি হবে কি না, তা যাছাই করে দেখা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাবরাং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম জানান, নাফ নদের জোয়ারের ধাক্কায় কয়েক বছরে শুধু জালিয়াপাড়ারই চার শতাধিক ঘরবাড়ি, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। এখন অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করা হলে ঝুঁকি আরও বাড়বে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, সরেজমিনে তিনি নাফ নদ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে চায়না হারবালকে নিষেধ করেছিলেন। এখন পুনরায় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে কি না, দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাউবো ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সাল থেকে জোয়ারের ধাক্কায় শাহপরীর দ্বীপের এক হাজার একরের মতো ফসলি জমি, মৎস্য খামার এবং ঘোলারচর নামের একটি গ্রামের বসতঘর সাগরে বিলীন হয়েছে। বিলীন হতে হতে দ্বীপের পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়া, মাঝেরপাড়া ও হাজীপাড়া ছোট হয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে নদ থেকে বালু উত্তোলন করলে শাহপরীর দ্বীপের ঝুঁকি আরও বাড়াবে।
বিএসডি/জেজে