আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
সিরিজ জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মাটিতে আপনি ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস চাইবেন। কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে চাই তা বলা কঠিন। কারণ এখানে ব্যাটিং কন্ডিশন অনেক কঠিন। বড় ইনিংস খেলতে পারলে ভালো হতো। বোলিংয়ে আত্মবিশ্বাস আর জয়ের অভ্যাস গড়ে তোলাই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে সবাইকে অবাক করেছিল একটি নিয়ম। বল ছক্কা হয়ে গ্যালারিতে গেলে তা ফেরানো হবে না মাঠে। সেই পরিবর্তন করে ম্যাচ ওভারের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়া হবে পুরনো আরেকটি বল। করোনা ভাইরাসের মহামারির যুগে এই নিয়ম ক্রিকেটে প্রথম দেখা যায় বাংলাদেশেই। অজি ক্রিকেট বোর্ডের (সিএ) এমন শর্ত মেনে নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি- টোয়েন্টি সিরিজে বেশ কয়েকবারই এই ঘটনা স্বচক্ষে দেখেন ক্রিকেট ভক্তরাও। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘটবে একই ঘটনা। যদিও কিউই পর্যবেক্ষক দল ও টিম ম্যানেজমেন্ট চেয়েছিল বল স্যানিটাইজ করে মাঠে ফেরানো হোক। তারা বিসিবিকে সেই প্রস্তাবও দিয়েছিল। কারণ এমন নিয়মে ব্ল্যাকক্যাপস ও টাইগার ক্রিকেটারদের অপত্তি ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষ ম্যাচ অফিসিয়ালদের আলোচনা করে আগের নিয়মই বহাল রেখেছে। বিসিবি’র একটি সূত্র জানায়, ‘আমাদের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের টিমম্যানেজমেন্ট কথা বলেছেন। আলোচনা হয়েছে। করোনা নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত হয়েছে এবারও বল গ্যালারিতে গেলে তা ফিরিয়ে আনা হবে না।’
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড প্রতিনিধিদল প্রথম মিরপুর শেরেবাংলা মাঠ পরিদর্শনে এসে ভিন্ন প্রস্তাবই দিয়েছিল গ্যালারিতে যাওয়া বলের বিষয়ে। সেই সময় বিসিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয় এই সিদ্ধান্ত দিবেন ম্যাচ অফিসিয়ালরাই। বিসিবি’র একটি সূত্র জানায়, ‘আসলে বিষয়টি অদ্ভুত। বল গ্যালারিতে গেলে নতুন করে বল দিলে সেটি নিতে ক্রিকেটারদের অপত্তি আছে। তবে যেহেতু ২০ ওভারের ম্যাচ তাই বলে খুব একটা পরিবর্তন হয় না। সেই বিবেচনাতে নিয়মটি বহাল রাখা যায়। আর স্যানিটাইজ করতে গেলে টেম্পারিংয়ের বিষয় আসে। আবার আমাদের একজন করে গ্রাউন্ডসম্যানকে গ্যালারির ভিভিন্ন স্থানে বসিয়ে রাখতে হতো। এটিও একটি জটিল প্রক্রিয়া ছিল।’