পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রী নিজের বাল্য বিয়ে ঠেকাতে মঠবাড়িয়া থানায় হাজির হয়ে পুলিশের সহায়তা চেয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে থানায় হাজির হয়ে ওই মাদ্রাসাছাত্রী আবেদন জানালে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের আয়োজন পণ্ড হয়ে যায়।
বাল্যবিবাহের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া ওই শিক্ষার্থী উপজেলার মিরুখালী অহেদাবাদ নূর-আলা নূর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। সে ওই গ্রামের অটোরিক্সা চালক আব্দুর রহমানের মেয়ে। তার মা সম্প্রতি জর্ডান থেকে দেশে ফিরে এসে এ বাল্য বিয়ের আয়োজন করেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জর্ডান ফেরৎ মা ও অটো চালক বাবা ওই ছাত্রীকে না জানিয়ে বিয়ে ঠিক করেন। সোমবার বিকেলে পাশবর্তী ভাণ্ডারিয়া উপজেলার হরিণ পালা গ্রাম থেকে মা-বাবার পছন্দ অনুযায়ী ছেলে পক্ষ দেখতে এসে আংটি পরিয়ে দেয়। বিষয়টি মাদ্রাসা ছাত্রী নুশরাত জাহান মিম বুঝতে পেরে মা-বাবাকে না জানিয়ে ওই রাতে থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ জানায়। পুলিশ ঘটনাটি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে পণ্ড হয়ে যায়।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা মহিলা বিষয় কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল বলেন, ওই ছাত্রীর মা-বাবাকে ডেকে এনে পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা গ্রহণ করে বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, নিজের বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে থানায় হাজির হয়ে ওই কিশোরী সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ভাবে ব্যবস্থা নিয়ে বাল্য বিয়ের হাত থেকে ওই মাদ্রসাছাত্রীকে রক্ষা করা হয়েছে
বিএসডি/ এলএল