নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়া সারিয়াকান্দিতে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে এক কিশোরী। সে সারিয়াকান্দি সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার শিক্ষার্থী এবং ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী। ইবতেদায়ি এবং জেডিসি পরীক্ষায় বৃত্তিও পেয়েছে সে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নিজের বিয়ের বিষয়টি মাদরাসার অধ্যক্ষকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে অধ্যক্ষ এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চান। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীর বাড়ি সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার হিন্দুকান্দি গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পৌর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রিনা বেগম, অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান, শিক্ষক ফজলে রাব্বী, এ কে এম মকবুলার রহমান সোহেল, রেজাউল করিম, শ্যামা কান্ত ঘোষসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধের বিষয়ে শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করে নিজের পায়ে দাঁড়াবো। তবে গত কয়েকদিন ধরে আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। আমাকে এখন বিয়ে দিতে বাবা-মাকে নিষেধ করি। তারপরও তারা আমার বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। পরে নিরুপায় হয়ে ঘটনাটি আমার মাদরাসার অধ্যক্ষকে জানাই।
সারিয়াকান্দি সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছিলাম। উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপে কোমলমতি মেধাবী এ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলায় বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রশাসনের সার্বক্ষণিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিএসডি / আইকে