নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে- এই সরকার, এই নির্বাচন কমিশনারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এমন কথায় পশু-পাখিরাও বিব্রতবোধ করে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে ইভিএম বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া হবে। যার যার ভোট তারা দেবে, দিনের ভোট দিনে করবে, ব্যালটে দেবে। তাতে বিএনপি জিতলে জিতবে, না হয় হারবে। সে হারে লজ্জা নেই বরং ভোট চুরি করায় লজ্জা আছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জিয়া নাগরিক ফোরাম আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মৃত্যু যখন আমাদের সকলের অনিবার্য সেখানে জেলকে ভয় করার কোনো কারণ নাই। গোটা দেশটাই যখন জেলখানা সেখানে এই ছোট্ট একটা কক্ষকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই। জেলখানায় যাওয়ার পর্বটা শেষ হলে- হয়ত জেলখানাটা খালি থাকবে না। পালাক্রমে কেউ ঢুকবে, কেউ আসবে এবং পরবর্তীতে জেলে যাওয়ার কাজটা তাদের হবে, যারা ক্ষমতায় আছে।
তিনি বলেন, জেলখানাগুলো আরও দ্বিগুণ বড় করতে হবে। কারণ এতো চুরি, এতো বাটপারি, এতো খুনি, এতো সন্ত্রাসী সরকারের ছত্রছায়ায় আছে যে জেলখানাগুলোতে এদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না, সেখানে নতুন করে তাবু টানাতে হবে। আমাদের এখন জেলে যাওয়ার তাড়া নেই। জেলে যাওয়ার পালা তাদের।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির জনস্রোতে ভয় পেয়ে সরকার করোনা বৃদ্ধির নামে ‘বিধি-নিষেধ’ জারি করেছে। করোনা দিয়ে ঠান্ডা করছে। অর্থাৎ কেউ কথা বলতে পারবেন না, নড়তে-চড়তে পারবেন না। অতিরিক্ত ঠান্ডায়ও কিন্তু মানুষ মারা যায়। সরকার বেশি ঠান্ডা রাখতে গিয়ে সরকারেরই পতন হয় কিনা সেটাও বিবেচনার বিষয়।
জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিএসডি/ এলএল