গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, দুর্গাবর্দী খালের পাশ দিয়ে ৯ ফুটের একটি পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। বনাবিবির সেতুর গোড়া থেকে সড়কের প্রায় ২০ ফুট ধসে গেছে। সড়কের মাঝামাঝি দুটি স্থানেও ১৫ থেকে ২০ ফুট ধরে ধস নেমেছে। এসব স্থানে সড়কের অর্ধেকেরও বেশি ধসে গেছে। ফলে সেখানে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
দুর্গাবর্দী এলাকার আবদুস সালাম বলেন, ‘দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছিল। পরে রাতের মধ্যেই তিনটি স্থান ধসে পড়ল। সড়কটির নির্মাণকাজ খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু নির্মাণের কয়েক দিনের মধ্যে নতুন সড়কটির এমন দশা হবে, আমরা চিন্তা করতেও পারি নাই।
সড়কটির ঠিক পাশেই দুধখালি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতিকুর রহমানের বসতঘর। ৯ ফুট এ সড়কের ৭ ফুটই ধসে পড়ায় চিন্তিত তিনি। আতিকুর রহমান বলেন, ‘খালের পাশে টেকসই গাইড ওয়াল নির্মাণ না করে রাস্তা বানালে টিকবে না। এ কথা ঠিকাদারকে আমি বারবার বলেছি। কিন্তু তিনি কোনো কথা শোনেননি। খালের পাশে কিছু বাঁশ পুঁতে বালুর বস্তা ফেলে পিচ ঢালাই দিয়েছেন। এখন তো এক বৃষ্টিতেই রাস্তা খালে চলে গেছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. ফেরদাউস বলেন, সড়কটি নির্মাণে কোনো ত্রুটি ছিল না। এখানে খালের গভীরতা অনেক বেশি। খালের পাশে মাটি না থাকায় রাস্তা খালের ভেতর ভেঙে পড়েছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা। এখানে ঠিকাদারের কোনো গাফিলতি নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সড়কটি ধসে পড়ার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এখানে কাজের গাফিলতি নেই। খালের পাশে মাটি নেই। তাই ধসে পড়েছে। আসলে সড়কটি কার্পেটিং শেষ হলেও ঠিকাদার আমাদের কাছে কাজটি এখনো বুঝিয়ে দেয়নি। তাই সড়কটির যেখানে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে ঠিকাদার মেরামত করে দেবেন।