বর্তমান সময় ডেস্কঃ
এবার ভেসে উঠল পৃথিবী বিখ্যাত জাহাজের মেনু কার্ড! নিলামে ওঠা সেই খাদ্য তালিকায় স্যামন, বিফ, স্কোয়াব, ডাক, চিকেন, পার্সনিপ পিউরি, আরও অনেক কিছু। সব রাজকীয় খাবার।
তৎকালীন বিশেষজ্ঞেরা বলেছিলেন, এ জাহাজ কোনও দিন ডুববে না। যদিও ব্রিটেনের সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্কগামী জাহাজটি প্রথম সফরেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। দিনটি ছিল ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে বরফে ধাক্কা খেয়ে তলিয়ে যায় টাইটানিক।
সেই টাইটানিক থেকে বের হয়ে এলো মেনুকার্ড। তা এবার উঠল নিলামে। এর দাম উঠেছে ৮৩ হাজার পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক কোটি ১২ লাখ ৬৮ টাকা।
একই সঙ্গে নিলামে উঠেছে ডুবে যাওয়া জাহাজের এক যাত্রীর ঘড়ি, কম্বল এবং একটি পতাকা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজকীয় খাবারের ওই মেনুকার্ডই সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হবে।
নিলামে ওঠা সেই খাদ্য তালিকায় স্যামন, বিফ, স্কোয়াব, ডাক, চিকেন, পার্সনিপ পিউরিসহ রয়েছে ভিক্টোরিয়া পুডিং। এগুলো সবই রাজকীয় খাবার।
কালের নিয়মে সাদা মেন্যু কার্ডে রং চটে লালচে হয়েছে। তবে প্রথম শ্রেণির খাবারের নামগুলো পড়তে অসুবিধা নেই। কার্ডের ডান পাশে লেখা, এপ্রিল ১১, ১৯১২!
উপরে একটি লাল পতাকা, তার মাঝে সাদা তারা। যা আসলে টাইটানিকের পতাকা। সেকালের বৃহত্তম জাহাজের অহংকারের প্রতীক। যে অহংকার চূর্ণ করে বিরাট হিমশৈল।
আরএমএস টাইটানিক ডোবায় মৃত্যু হয়েছিল দেড় হাজার মানুষের। ঠিক যেমনটা দেখানো হয়েছিল জেমস ক্যামারন পরিচালিত, কেট উইন্সলেট ও লিওনার্দো দিক্যাপরিও অভিনীত ছবিতে।
তথাপি যারা লাইফবোটে জায়গা করতে পেরেছিলেন, তারা বেঁচে গিয়েছিলেন। তেমনই কোনো যাত্রী টাইটানিক ছাড়ার আগে হয়তো একটি মেন্যু কার্ড স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছিলেন।
বিএসডি/আরপি