জেলা প্রতিনিধি:
‘নৌকা মার্কায়’ ভোট না দিলে ভোটকেন্দ্রে আসতে নিষেধ করেছেন ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম। গত ৫ নভেম্বর বিকেলে ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের লাউজানি স্কুলমাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণে তিনি এমন বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এ বক্তব্যের অডিও ক্লিপসহ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল বারিক। অডিও ক্লিপটি এখন সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল!
গত ৫ নভেম্বর বিকেলে ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের লাউজানি স্কুলমাঠে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আমির হোসেনের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ জনসভায় ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, কেউ নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে তাদের ভোটের মাঠে আসার প্রয়োজন নেই। আর যদি কেউ আসে তাহলে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের যেহেতু কোনো প্রার্থী নেই, তাই তাদের কেন্দ্রে আসার দরকার নেই।
এমন বক্তব্যের অডিও ক্লিপসহ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল বারিক। তিনি আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আব্দুল বারিক উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
অভিযোগে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগও এনেছেন তিনি। একইসঙ্গে নিজের এবং কর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার কথাও উল্লেখ করেছেন।
অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে যশোরের পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন অফিসার, ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা নির্বাচন অফিসার, রিটার্নিং অফিসার এবং থানার ওসি বরাবর।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে আসতে নিষেধ করার কোনো বক্তব্য তিনি দেননি। অভিযোগে কি অডিও ক্লিপ দেয়া হয়েছে তা তার জানা নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনিরুল ইসলামই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন।
বিএসডি / আইকে