নিজস্ব প্রতিবদক:
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘট শুরু হলেও কিছু বাস-ট্রাক গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ব্যস্ত। তবে ছোট ছোট যান বিশেষ করে অটো, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলাচল করছে।
বাস বন্ধ থাকায় বেশির ভাগই ভোগান্তিতে পড়েছে কুয়াকাটাগামী পর্যটকসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। মহাসড়কে বাস বন্ধ থাকায় তিন চাকা ও দুই চাকার যানবাহনের দৌড়াত্ব বেড়েছে। এতে গন্তব্যে পৌছাতে গুনতে হচ্ছে দুই থেকে তিন গুণ বেশি ভাড়া।
মুন্সিগঞ্জ জেলা শহর থেকে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটক মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ মহিব বলেন, কুয়াকাটায় ঘুরতে আসছি। এখানে এসে দেখি বাস ধর্মঘট। তাই কুয়াকাটা যেতে অনেক ভোগান্তি। কারণ বাস বন্ধ তাই অটোরিক্সায় এক একজন ২শ টাকা করে ভাড়া চায়। অন্য কোন যানবাহন নাই। তাই বিভাবে যে যাব তা বলতে পারছি না।
পটুয়াখালী বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষমান যাত্রী মো. আল সবুজ বলেন, আমি কলাপাড়ায় যাব। কিন্তু অটোরিক্সা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে দ্বিগুন ভাড়া চায়। কিভাবে যে যাব বলেন তিনি।
বাস শ্রমিকরা জানান, হঠাৎ করেই তেলের দাম বেড়েছে। তাই আমাদের গাড়ি চালিয়ে পোষায় না।
পটুয়াখালী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, দীর্ঘ দুই বছর যাবত করোনা ভাইরাসের কারণে বাস ব্যবস্যায় ধ্বস নেমেছে। এখন ব্যবসা হুমকির মুখে। তারপর আবার তেলের দাম বৃদ্ধি। বাস চালালেই লোকসান হবে, না চালালে আন্তত লোকসান তো হবে না। তাই তেলের দাম বৃদ্ধি ও লেবুখালী পায়রা সেতুর টোলের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এ বাস ধর্মঘট বলে জানান তিনি।
বিএসডি /আইপি