চিকিৎসকদেরকে যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি দেওয়া হবে, কাউকেই পদোন্নতির জন্য ঘুরতে হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, গার্ডিয়ানের কাছে কখনো চাইতে হয় না। ভালো কাজ হলে অভিভাবক এমনিতেই সব দেয়।
বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত প্রথম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেকেই বিভিন্ন দাবির কথা জানিয়েছেন। ভালো থাকার জন্য ভালো জায়গা অবশ্যই যৌক্তিক। আপনাদের দাবি আরো বেশি যৌক্তিক, কারণ আপনারা ২৪ ঘণ্টা কাজ করেন।
তিনি বলেন, আপনাদের জন্য আগে ভালো গাড়ি ছিল না। এখন আপনাদের যেই গাড়ি দেওয়া হয়েছে, সে গাড়ি আমারও নেই। স্বাস্থ্য সচিব, মহাপরিচালকেরও নেই। সীমিত সম্পদ নিয়ে আমরা কাজ করি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে একটি জনবল কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই পৌনে পাঁচ লাখ নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়োগ সম্পন্ন হলে স্বাস্থ্যসেবার মান আরো উন্নত হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায় নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তন আমাদের ধরে রাখতে হবে। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার মান উন্নত করতে হবে। হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েক দিনে ধরে আবার সংক্রমণ বাড়ছে, আমাদের দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আবার আসুক এটা আমরা কেউ চাই না। এজন্য সবার সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
টিকা কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতি মাসে তিন কোটি এবং তার থেকে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। চলমান থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষের কার্যক্রম কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব হবে।
উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আপনাদের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেন। আপনাদের কাজের ওপর সরকারের ইমেজ নির্ভর করে। তাই গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আপনাদের আরো সচেতন হতে হবে।
অনুষ্ঠান আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।