বর্তমান সময় ডেস্ক-
গ্রেফতারকৃত ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমনির অপকীর্তি ও অপরাধের সঙ্গে যত বড় প্রভাবশালী জড়িত থাকুুক না কেন তদন্তপূর্বক তাকে বা তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। পরীমনিকে নিয়ে পুলিশের অপরাধ বিভাগ (সিআইডি) জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলেও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শনিবার (৭ আগষ্ট) দুপুরে মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক আরো বলেন, ‘পরীমনি, মডেল পিয়াসা, মৌ ও রাজের মামলার সব ধরনের ডকুমেন্ট এবং আসামিদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে হেলেনা জাহাঙ্গীর ও পরীমনির অন্যতম সহযোগী মিশুকে এখনো হেফাজতে নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন,’ সিআইডিতে যে কোনো তদন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করা হয়। আমাদের ফরেনসিক ল্যাব, মেডিকেল, ডিএনএ ও আইটি ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে। মামলার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে করতে চাই। এর জন্য তদন্ত কার্যক্রমে আমাদের সময় লাগবে। পাশাপাশি তদন্তে যেন কোন ধরনের ফাঁক বা আসামিরা আইনে বেরিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, ‘পরীমনির সঙ্গে আর কোন কোন প্রভাবশালী আছে বা কাদের সহযোগিতা নিয়ে তিনি মাদক কিংবা অনৈতিক কর্মকান্ড, পার্টি করে আসছিলেন সে বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। তদন্তে যার নাম বেরিয়ে আসবে বিশেষ করে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পরীমনিকে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। প্রয়োজনে সব আসামিকে একসঙ্গে করেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।’
আরও পড়ুন – পরীমনির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন এডিসি সাকলায়েন
আসামির সঙ্গে এক তদন্ত কর্মকর্তার একান্তে ১৮ ঘণ্টা কাটিয়েছেন- এমন প্রশ্নে ডিআইজি ওমর ফারুক বলেন, আমরা এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। তদন্ত কর্মকর্তা কেন একজন আসামির সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটিয়েছেন, এতে করে তদন্ত কার্যক্রমে কোন ব্যাঘাত ঘটেছে কিনা কিংবা আসামিকে কোন সুবিধা দেওয়া হয়েছে ইত্যাদি বিষয়গুলো তদন্তে পরিষ্কার হবে।
প্রসঙ্গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এসময় তার বাসা থেকে বিপুল বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ, মাদক এলএসডি ও আইস উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দারা। এরপর হালের এ নায়িকার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে।
বিএসডি/এমএম