আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের কোয়েটা শহরের সেরেনা হোটেলের কাছে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই পুলিশের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন বাহিনীর আরও ১২ সদস্য। রবিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঘটা বিস্ফোরণে আরও ছয় বেসামরিক ব্যক্তিও আহত হন।
বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র লিয়াকত শাহওয়ানি বিবৃতির মাধ্যমে এই হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানিয়েছেন, তানজিম চকের কাছে ১৫ পুলিশ সদস্যকে বহনকারী গাড়িকে লক্ষ্য করে মোটরসাইকেলে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হলে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। পাক মিডিয়া দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিস্ফোরণের পর আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় আশেপাশের এলাকাগুলোতে জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়। এরপর কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের (সিটিড) সদস্যরা ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্রের মতে, সন্ত্রাসীরা বেলুচিস্তানের শান্তি বিঘ্নিত করতে চাইছে। আর তারা এখানে ভীতি ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে। লিয়াকত শাহওয়ানি বলেছিলেন, শান্তিপূর্ণ অঞ্চল বেলুচিস্তানে যারাই অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করবে তাদেরই বিচারের আওতায় আনা হবে।
এ দিকে হামলার নিন্দা আর হতাহতদের প্রতি শোক জানিয়েছেন বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী জাম জামাল খান। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসীরা এই প্রদেশের শান্তি নষ্ট করতে চায়। আমরা কোনোভাবেই সন্ত্রাসীদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা সফল হতে দেবো না। হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করছি।
অপর দিকে পৃথক ঘটনায় আগামী ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা বিক্রি করার একটি দোকানে গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। কোয়েটার সারিয়াব সড়কে এই হামলায় দোকানি আহত হয়েছেন।
- আরও পড়ুন : বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসী হামলায় ১২ সেনা নিহত
উল্লেখ্য, মাত্র তিন মাস আগে কোয়েটার সেরেনা হোটেলের পার্কিং লটে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছিল। মূলত এরপর থেকে শহরটিতে নিরাপত্তা কর্মী এবং বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েক জন হতাহত হন।
বিএসডি/এমএম