নিজস্ব প্রতিবেদক,
পাবনায় ডাকাতির ঘটনার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ডাকাতির মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাদলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়িসহ সরঞ্জাম।
রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সদর থানা চত্ত্বরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ৫টি মামলা, রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে ৫টি, ছাদেক আলীর বিরুদ্ধে ৭টি, এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে ৮টি, মাহাতাব মৃধার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম জানান, গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতে সদর উপজেলার মালঞ্চি বাজারে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতদল চারটি দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ফ্রিজ, টেলিভিশন, মোবাইলফোনসহ প্রায় ১৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা নম্বর ৯৩। মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে পুলিশের একটি চৌকশ দল। এরপর পাবনা, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে ডাকাত সর্দার আমিরুল ইসলামসহ দলের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক, একটি অটোরিকশা, একটি শাটারগান, দুই রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করা হয়।
বিএসডি/আইপি