এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থতায় দল থেকে বাদ পড়েন ফখর জামান। পাঁচ ম্যাচ বাইরে বসে থাকার পর ফের পেয়েছেন সুযোগ। দারুণভাবে তা কাজে লাগিয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুই ম্যাচেই জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। পরে প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, কঠোর পরিশ্রমের কথা।
শনিবার (৪ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেছেন রাচিন রবীন্দ্র। জবাবে খেলতে নেমে ২৫ ওভার ৩ বলে এক উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তোলে পাকিস্তান। এরপর বৃষ্টিতে খেলা আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় ডিএল মেথডে ২১ রানে জিতেছে পাকিস্তান। যেখানে অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ফখর জামান।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিফটির আগে টানা ১১ ইনিংসে একবারও ৩৫ রান করতে পারেননি ফখর। ত্রিশ ছুঁতে পেরেছিলেন স্রেফ দুইবার। অথচ এর আগে নিউ জিল্যান্ডে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করে রীতিমতো উড়ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। সেখান থেকে ছন্দ হারিয়ে বাদ পড়েন একাদশ থেকে।
তবে এবার সুযোগ পেয়ে আরও একবার নিজেকে প্রমাণ করলেন। পরপর দুই ম্যাচে দল জেতানোর পর সেরার স্বীকৃতি পাওয়ার পর খারাপ সময় পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটা জানান ফখর, ‘এই পর্যায়ে সবসময়ই উত্থান-পতন থাকে। এশিয়া কাপ আমার জন্য ভালো যায়নি। সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছিলাম? (আসলে ২৭)। সময়টা ভালো ছিল না। আমি তখন পেশাওয়ারে গিয়ে আফতাব খানের (পাকিস্তানের ফিল্ডিং কোচ) সঙ্গে তার একাডেমিতে কাজ করি। অফ স্পিনের সামনে আমার দুর্বলতা তিনি দেখিয়ে দেন। তিনিও একজন অফস্পিনার ছিলেন। তার সঙ্গে অনেক কাজ করেছি আমি।’
‘তিনি আমার সঙ্গে যেসব বিষয় ভাগাভাগি করেছেন, আমাকে যেভাবে সময় দিয়েছেন… খুব বেশি মানুষ আপনার প্রতি এত নিবেদন দেখাবে না। আপনার এমন মানুষ প্রয়োজন। যখন পারফর্ম্যান্স আসে, তখনই কঠোর পরিশ্রমটা দেখা। যখন (পারফর্ম) না করবেন, তখন দেখা যাবে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আপনি পরিশ্রম করেননি।’-আরো যোগ করেন তিনি।
বিএসডি / এলএম