অর্থনীতি ডেস্ক,
পুঁজিবাজারের মাধ্যমে ৫ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত মূলধন সংগ্রহ করতে পারবেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) উদ্যোক্তারা।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খিলক্ষেতের ডিএসই টাওয়ারে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের এই সুযোগ নিঃসন্দেহে দেশের এসএমই খাতের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।
তিনি আরও বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করাই যথেষ্ট নয়, একে সফল করতে হবে।
ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে ৫ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের সুযোগ থাকলেও এসএমই’র সংজ্ঞা পরিবর্তন হলে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের অন্যতম বড় সমস্যা পুঁজি সংকট। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বছরে এই খাতে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেয়া হলেও প্রকৃত চাহিদা অন্তত তিন গুণ বা ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো। সেই সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের সুযোগ করে দিতেই বিধিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তিনি এই সুযোগ গ্রহণ করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দুই দফায় প্যাকেজ ঘোষণা করলেও নানা জটিলতায় বেশিরভাগ উদ্যোক্তা তার সুফল পাননি। সেক্ষেত্রে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারা তাদের জন্য একটা বড় সুযোগ। কারণ, দীর্ঘমেয়াদী মূলধন সংগ্রহের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জায়গা হচ্ছে পুঁজিবাজার। তাই ব্যাংকে না গিয়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে তিনি এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
৩ বছর মেয়াদী সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ যৌথভাবে কাজ করবে।
বিধি অনুযায়ী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজার থেকে মূলধন আহরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ‘ডিএসই এসএমই’ প্ল্যাটফর্ম চালু করে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসএমই খাতভুক্ত কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহ করতে পারবে।
বিএসডি/আইপি