নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারী দিবস নিয়ে যেমন শোরগোল থাকে পুরুষ দিবস নিয়ে ততটা থাকে না। তাই ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস হলেও দিবসটি অনেকটা আড়ালেই থেকে যায়।
সমাজের প্রতি পুরুষদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয় দিবসটি। পাশাপাশি পুরুষদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি পালন করা হয়।
পুরুষদের জন্য বিশেষ একটি দিবসের কথা উঠেছিল অনেক আগেই। ১৯৬০ সাল থেকে এমন একটি দিবস পালনের দাবি অনেকেই জানাতে শুরু করেন। বিশ্ব নারী দিবস পালন শুরু হলে এই দাবি আরও জোরালো হয়। ১৯৯২ সালে প্রথম পুরুষ দিবস পালিত হয়। আর ১৯৯৯ সাল থেকে ১৯ নভেম্বর পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব পুরুষ দিবস।
পুরুষ দিবস পুরুষদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও দৃষ্টি দেয়। দিনটিতে পুরুষদের যেসব বিষয় মনে রাখা জরুরি-
• কান্না পেলে মেয়েরা কাঁদতেই পারে, তবে পুরুষের কেনোভাবেই কান্নাকাটি করা যাবে না- এমন বস্তাপচা ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কান্না পেলে কাঁদুন, তাতে মন হালকা হবে এবং মানসিক জটিলতা কমবে।
• পুরুষ হলেই খেলাধুলা পছন্দ হতে হবে তা নয়। কোনো পুরুষের যদি ক্রিকেট-ফুটবলের মতো খেলাগুলো অপছন্দ হয়, তবে সেটা তার ব্যক্তিগত পছন্দ। এতে লিঙ্গের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।
• মান-অভিমান মেয়েদের অধিকার। এই ধারণা নিয়ে বাঁচলে জীবনটা উপভোগ করতে পারবেন না। তার চেয়ে বরং আপনি যেমন, তেমনই থাকুন, তেমন ভাবেই বাঁচুন।
• ছেলে মানেই টাকাপয়সার বিষয়ে মাথা পরিষ্কার? যে কোনও প্রযুক্তি ঝট করে আয়ত্তে করে ফেলতে পারবেন? একদমই নয়, হতেই পারে, আপনি হাতের কাজে বেশি পটু। খুব সহজেই ঘর সাজিয়ে ফেলতে পারেন। হয়তো পাঁচ-সাত রকমের সেলাই আপনার কাছে কোনো ব্যাপারই নয়। তাই নিজে যে বিষয়ে স্বচ্ছন্দ, সেটাতেই মন দিন। কোনো রকম চাপানো ধারণার জন্য জোর করে কোনো কাজ করার চেষ্টা করবে না।
• পুরুষ মানেই সুঠাম শরীর আদর্শ। না হলে কি আপনি কাঙ্ক্ষিত পুরুষের তালিকায় পড়বেন না? এই ধরনের চিন্তা বদলানোর সময় চলে এসেছে। নিজের শরীর নিয়ে কোনো রকম হীনমন্যতায় ভোগার কোনো কারণ নেই।
বিএসডি/এফএ