তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ২৮ অক্টোবর সমাবেশের নামে পুলিশ হত্যা করেছে, তারা ৩২ জন সাংবাদিককে আহত করেছে। এসব কাজের মূল হোতাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘ব্রিগেড ৭১’ আয়োজিত ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, তারা অনলাইনের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করে, অবরোধের নামে গাড়ি পোড়াচ্ছে। এরা দেশ ও সমাজের শত্রু। এজন্যই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। শেষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত, তা অব্যাহত থাকবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি সারা দেশে সন্ত্রাসের তাণ্ডব শুরু করেছে। ইসরায়েল বাহিনী যে কায়দায় গাজায় হাসপাতালে আক্রমণ চালিয়েছে, তেমন তারাও পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ চালিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা কী মানুষ? এরা কী রাজনৈতিক কর্মী? এদের নেতারা কী রাজনৈতিক দলের নেতা? তারা (বিএনপি) হিংস্র হায়নার চেয়েও খারাপ।
তিনি আরও বলেন, অভ্যুদয়ের পর থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে তাদের অপচেষ্টা কিছুটা সফল হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে আওয়ামী লীগ ২১ বছর এদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনার কাজে অনেকেটাই অগ্রসর হয়েছিলাম। ২০০১ সালে আবারও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় আসে। দেশ আবার পিছিয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে জনগণের ভোটে ভূমিধস বিজয়ের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত দেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলছে। আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেছে। আজ মানব উন্নয়ন,অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য সূচকে আমরা পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি।
বিএসডি/ এফ এ