নিজস্ব প্রতিবেদক:
অসাধু ও অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে অস্থির পিয়াজের বাজার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে প্রতিকেজি পিয়াজের দাম।
রাজধানীর খুচরা বাজারে পিয়াজের কেজি উঠে গেছে ৮০ টাকায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে আগামী ১১ অক্টোবর (সোমবার) স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বাণিজ্যমন্ত্রী। ইত্যোমধ্যে ১১টি জেলার ডিসিদের চিঠি দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি জানার জন্য। পাশাপাশ মনিটরিংও বাড়ানো হয়েছে।
আশা করা যাচ্ছে, পিয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার ওপরে উঠবে না বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, দেশে পিয়াজের কোন স্বল্পতা নেই। ভারতে বৃষ্টি হলে দেশে দাম বেড়ে যাবে এমনতো হতে পারে না। হুজুকে দেশের বাজারে পিয়াজের দাম বেড়েছে। আমাদের কাছে যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। ৪০ টাকার পিয়াজ এখন ৭০ টাকা হলো কেন? দেশে পিয়াজের দাম বৃদ্ধির তো কথা না। ভারতে ৭ থেকে ৮ রুপি দাম বেড়েছে। দাম বাড়লে ভারতেরটা দাম বাড়বে। কিন্তু দেশি পিয়াজের দাম কেন বাড়লো? আমাদের দেশেতো পিয়াজ আছে উৎপাদন ভালো হয়েছে। ২৮ লাখ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মনিটরিং করছি কিন্তু, গ্রামে গ্রামে গিয়ে তো সম্ভব না। পিয়াজ নিয়ে আমাদের মনিটরিং চলছে। ইতোমধ্যে সব ডিসিদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ১১টি জেলায় যেখানে পিয়াজ উৎপাদন বেশি হয়। এখন আমরা ডিসিদের কাছ থেকে মজুদ পরিস্থিতি জানতে চেয়েছি। হাটে হাটে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। এ বিষয়ে সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রী সব স্টেকহোল্ডার নিয়ে বৈঠক করবেন। বৈঠকের পরই আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম কী হবে সেটা জানা যাবে। আমরা দাম নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। আশা করছি, পিয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ এর ওপরে উঠবে না। এছাড়া আমরা ভারতের বাইরে মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি করছি।
বিএসডি / আইকে