খেলাধূলা প্রতিনিধি:
বিশ বছরের পরাজয়ের শৃঙ্খল ভাঙার লক্ষ্য নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে একদিবসি ক্রিকেটেই জয়ের খাতা খোলা এবং সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ে ফেলেছে টাইগাররা। ওয়ানডের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এবার টেস্টের লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ দল।
মুমিনুল বাহিনীর সঙ্গে আছে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস। মাঠের বাইরের আবহাওয়া যেন টেস্টেও বাংলাদেশের জয়ের প্রত্যাশাকে উসকে দিচ্ছে। কেপটাউনে গ্যারি কার্স্টেনের একাডেমিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্যাম্প করেছে টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা এবং প্রতিপক্ষ শিবিরে শীর্ষ কয়েকজন ক্রিকেটার নেই আইপিএলের কারণে। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল অবশ্য এসব অনুসঙ্গে ভুলতে চান না। সবকিছু ছাপিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে নতুন শুরুর দিকেই মনোযোগী মুমিনুল।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে সিরিজের প্রথম টেস্টে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ডারবানের কিংসমিডে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ৬টি টেস্ট হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে এবার ওয়ানডের পর টেস্টেও প্রোটিয়াদের হারাতে চায় টাইগাররা। মুমিনুল গতকাল বলেছেন, ‘আমি তো সবসময় বলি যে জেতার জন্যই খেলি। এই সিরিজেও আমরা জেতার জন্যই খেলব।’
সাকিব আল হাসান না থাকলেও তামিম-মুশফিক থাকায় বাংলাদেশ দলটা বেশ অভিজ্ঞ।
পাঁচ ম্যাচ পর টেস্টে ফিরছেন তামিম। ২০২১ সালের এপ্রিলে সর্বশেষ শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলেছিলেন বাঁহাতি এ ওপেনার। পরে জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডে টেস্ট খেলেননি তিনি। আজ ডারবানে বাংলাদেশের একাদশে তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেতে পারেন মাহমুদুল হাসান জয়।
অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকলেও টেস্ট জিততে ১৫ সেশন ভালো খেলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ওয়ানডের সাফল্য ভুলে টেস্টে নতুন শুরুর দিকেই ফোকাস করছেন মুমিনুল। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আপনি যখন একটু পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসেন। এরমধ্যে যখন আগের সিরিজ যেমন ওয়ানডে সিরিজ জিতে যাবেন তখন আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে অবশ্যই এগিয়ে থাকবেন। যদিও লাল বল ও সাদা বলের মধ্যে পার্থক্য আছে। লাল বলে আমাদের নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে।’
মাউন্ড মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর স্মৃতি প্রেরণা মানছেন মুমিনুল। উইকেট পেস-বান্ধব হলেও ডারবানে রান হবে আশা অধিনায়কের। এজন্য ম্যাচ জিততে পেসারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাই পেসারদের দিকে তাকিয়ে মুমিনুল। তাসকিন-এবাদতরা জ্বলে উঠলে ক্রমেই বাংলাদেশের জয়ের আশা উজ্জ্বল হবে।
বিএসডি/ এমআর