নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বারিক বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কের নাম ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’ নামকরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। রবিবার দুপুরে করপোরেশনের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। বিশেষ করে কোন রকম ম্যাচিং ফান্ড ছাড়াই ২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার যে অনুমোদন দিয়েছেন।
তাঁর কৃতজ্ঞতা স্বরূপ নগরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি প্রধানমন্ত্রীর নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাকারী জননেতা এম এ হান্নানের কবরটিতে তাঁর কীর্তিগাঁথা সম্বলিত নামফলক স্থাপনের ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি আরো জানান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের যেসব বরণীয় মহান ব্যক্তিরা অবদান রেখেছেন তাঁদের স্মৃতিকে অম্লান রাখার জন্য তাঁদের কৃতিত্বের বিবরণ সম্বলিত স্মৃতিফলক স্থাপন করা হবে।
আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনে কে বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে চসিক ষষ্ঠ পরিষদের ১২তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানান।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে রেজাউল আরো বলেন, গৃহকর নিয়ে নানাধরণের বিভ্রান্তিমূলক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এই ধরণের বিভ্রান্তিতে কর্ণপাত না করে আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। কোন কর বৃদ্ধি করার অবকাশ নেই শুধুমাত্র করের আওতা বৃদ্ধি হবে। অর্থাৎ আগে যে স্থাপনাগুলো ছিলো তা বৃদ্ধি করা হলে উক্ত অংশের কর ধার্য করা হবে। অসঙ্গতি দূর করার জন্য দুটি রিভিউ কমিটির স্থলে আরো দুটি কমিটি গঠন করা হবে। এই রিভিউ কমিটির মাধ্যমে সকল আপিল বিবেচনা করে সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারণ করা হবে।