নিজস্ব প্রতিনিধি
যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব, হত্যার সঙ্গে জড়িত, যারা ষড়যন্ত্রকারী, তাদের চেহারা উন্মোচিত হওয়া দরকার বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, কুশীলবদের ভূমিকা জাতির জানা উচিত, ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হওয়া উচিত। জিয়াউর রহমানের মরদেহ নিয়ে কথা বলায় প্রধানমন্ত্রী শিষ্টাচারবহির্ভূত কোনো কাজ করেন নাই।
সোমবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদের স্মরণে’ এক শোক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিষ্টাচার বহির্ভূত কোনো কাজ করেন নাই। তিনি সত্য কথা বলেছেন। কথাটি হচ্ছে, জিয়ার যে কফিন আনা হয়েছিল, সেখানে কোনো মরদেহ ছিল না। এটা আপনারা প্রমাণ করেন।
প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, প্রমাণ করেন সেটি কাউকে দেখানো হয়েছিল? সেনাবাহিনীকে দেখানো হয়েছিল? এটাতো শিষ্টাচারের কোনো বিষয় হলো না। এ ধরনের কথা আপনারা আরও অনেক বলেছেন।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, আপনারা অনেক মিথ্যাচার করেছেন। ১৯৭৫ সালের পর আপনারা জয় বাংলা স্লোগান দিতে দেন নাই। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে হানাদার বাহিনী বলা নিষেধসহ আরও নানাভাবে আমাদের অধিকার লুণ্ঠন করেছেন।
নিজেদের ব্যর্থতা রয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের অনেক ব্যর্থতা রয়েছে। একজন ছাত্র নেতা হিসেবে আমিও মনে করি তখন কেনো বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে পারলাম না। কেনো সেদিন আমরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারলাম না। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিয়ে সেখানে কিছুটা হলেও তা উন্মোচন করতে পেরেছেন। আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছি। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফালগুনী হামিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, সংরক্ষিত সাংসদ সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা প্রমুখ।
বিএসডি/এমএম