ফয়সাল আহমেদ:
প্রশ্নফাঁসের নতুন কোনো পদ্ধতি মোকাবেলা করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, গত এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অবিনব কায়দায় প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা হয়েছিল। গত পরীক্ষায় যেসব ছোটখাটো ব্যথয় ঘটেছে তা বিশ্লেষণ করে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি আশা করি এই পরীক্ষায় তা কার্যকর থাকবে। তারপরও কেউ যদি কোথাও অপচেষ্টা করেন তাহলে আমরা সবাই মিলে তা প্রতিরোধ করব। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার (৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম বাইরে অভিবাবকদের অনেক ভিড়। যারা আগে এসেছেন তারা সন্তানকে ভেতরে ডুকিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। তাদের এতো ভিড় যে বাকি পরীক্ষার্থীদের ডুকতে সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবকদের আমি অনুরোধ জানাব, সন্তানকে কেন্দ্রে ডুকিয়ে সাথে সাথে যেন কেন্দ্র ত্যাগ করেন। তাহলে কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে ডুকতে সমস্যা হবেনা।
কোচিং সেন্টার বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোচিং বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। আর একই কোচিং সেন্টারে অনেক ধরনের কোচিং চলে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে একা বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাশনের সহযোগিতা প্রয়োজন।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে। ক্লাসে এত শিক্ষার্থী, সকলের প্রতি শিক্ষকদের আলাদা নজর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন যে শিক্ষাক্রম, তাতে কোচিংয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে আশা করি।
আগামী বছরের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার আমরা চেষ্টা করেছিলাম জুলাই-আগস্টে পরীক্ষা নিয়ে আসতে। কিন্তু দেশের একটি অঞ্চলে বন্যার কারনে পরীক্ষা নিতে দেরি হয়ে গেল। এরপরের বছর আরও এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো। স্বাভাবিকের যত কাছাকাছি আনার চেষ্টা করব। আর আগামীতে যদি কোনো অঞ্চলে প্রাকৃতিক দূর্যোগ হয় তাহলে সেই বোর্ডের পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রেখে অন্য বোর্ডের পরীক্ষা নিতে। এবং যত দ্রুত সম্ভব বোর্ডের পরীক্ষা নিতে।
বিএসডি/এফএ