নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছাচ্ছে সোম ও মঙ্গলবার।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান জানান, সোমবার রাতে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯৫০ ডোজ, মঙ্গলবার দুপুরে ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮০ ডোজ এবং রাতে ৬ হাজার ২৫ হাজার ৯৫০ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছাবে।
“এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তিন চালানে এসব টিকা আসবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোভ্যাক্সের সহায়তায় বাংলাদেশ এসব টিকা পাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিএমএসডি কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করবেন।”
ইতিমধ্যে ফাইজার-বায়োএনকেটের ৩৬ লাখ ৪ হাজারের বেশি ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর পুরোটাই এসেছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।
অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোও যাতে করোনাভাইরাসের টিকার ন্যায্য হিস্যা পায়, তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস ‘কোভ্যাক্স’ নামে এই প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে।
কোভ্যাক্সের আওতায় ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের ২০ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা পাবে এবং আরও ৪০ শতাংশ মানুষের জন্য দ্রুতই টিকার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ফলে এ টিকা সংরক্ষণ করতে আল্ট্রা কোল্ড ফ্রিজারের প্রয়োজন হয়। আর পরিবহনের জন্য থার্মাল শিপিং কনটেইনার বা আল্ট্রা ফ্রিজার ভ্যান লাগে।
সাধারণ রেফ্রিজারেটরে ২ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা হলে এ টিকা ৫ দিন পর্যন্ত ব্যবহারের উপযোগী থাকে। আর রেফ্রিজারেটরের বাইরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ টিকা দুই ঘণ্টা টেকে।
সংরক্ষণ আর পরিবহনে জটিলতার কারণে প্রাথমিকভাবে কেবল ঢাকায় বাছাই করা কয়েকটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয় সে সময়।
কোভ্যাক্সের আওতায় ইউনিসেফ ২৬টি অতি শীতল ফ্রিজার দেওয়ায় এখন বাংলাদেশে ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা বেড়েছে।
ফাইজার ছাড়াও মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশ পাচ্ছে কোভ্যাক্সের আওতায়।