আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট নিজ নিজ দেশের শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো কোনো বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। কিন্তু দুই মিত্র দেশের মধ্যে প্রথম আলোচনাটি ঠিক আগেরবারের মতো হয়নি। বাইডেন যেখানে নমনীয়তার সাথে ইরান, ফিলিস্তিনের ইস্যু মোকাবেলা করতে চাইছেন, বেনেট সেখানে আরো বেশি কঠোরতা আরোপের পক্ষে জোর দেন।
গত শুক্রবার দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটনে এই বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ের জন্যই শান্তি-সমৃদ্ধি এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহযোগিতার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে তার বিরোধিতার কথার পুনরাবৃত্তি করেন।
এ সময় দুই নেতা পরমাণু অস্ত্র উন্নয়ন থেকে ইরানকে বিরত রাখার উপায় সন্ধান করলেও এর পন্থা কী হবে তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন। বাইডেন বলেন, তার প্রশাসন এক্ষেত্রে কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দিতে চায়। যদি এটি ব্যর্থ হয় তাহলে অন্য বিকল্পের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু বেনেট বাইডেনের এ কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। সন্ত্রাস, অস্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে ইরানকে শীর্ষ দেশ আখ্যা দিয়ে তিনি তেহরানকে রুখে দিতে চাপ দেন বাইডেনের ওপর।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পাশাপাশি ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে আসেন। তবে বাইডেন, ওই চুক্তিটিকে পুনরুজ্জীবিত করার ইচ্ছা পোষণ করছেন।
বেনেট এর তীব্র বিরোধিতা করেন। কাবুলে বোমা হামলার কথা তুলে ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতেই বুঝা যায় যদি কোনো মৌলবাদী ইসলামী শাসন পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে তাহলে বিশ্ব কেমন হবে।
বেনেট বলেন, আমি আমার সঙ্গে জেরুজালেম থেকে সদিচ্ছার নতুন চেতনা নিয়ে এসেছি। ইসরায়েলের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো নিখুঁত করাসহ ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ছিল। এর জবাবে বাইডেন বলেন, আমরা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তি-নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির অগ্রগতির উপায় নিয়েও আলোচনা করতে যাচ্ছি।
বিএসডি/এএ