নিজস্ব প্রতিবেদক:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় কাত হওয়া রো রো ফেরি আমানত শাহ থেকে ডুবে যাওয়া যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেল ও কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উদ্ধারকারী হামজা চতুর্থ দিনের উদ্ধার অভিযানে একটি মোটরসাইকেল ও বেলা পৌনে ১১টার দিকে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক (উদ্ধার) ফজলুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তিন দিনের উদ্ধার অভিযানে ১২ যানবাহন এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। আজ হামজা আরও একটি মোটরসাইকেল ও কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করেছে। হামজার সঙ্গে যানবাহন উদ্ধারে যুক্ত হয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম।
ফেরি দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১৩টি যানবাহন ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার হলো। এখনও পানির নিচে রয়েছে একটি গাড়ি। সেটি উদ্ধার হলেই শেষ হবে ডুবে যাওয়া যানবাহন উদ্ধারকাজ।
এর আগে চতুর্থ দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ফেরির ভেতরে আটকে থাকা ট্রাক উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রুস্তম উদ্ধার অভিযানে যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জাহাজটি দুর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। এর কিছুক্ষণ পর উদ্ধার অভিযান শুরু করে জাহাজটি।
২৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৪টি যানবাহনসহ পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে ডুবে যায় আমানত শাহ। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। সাড়ে ১০ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত ফেরি থেকে চারটি পণ্যবাহী ট্রাক উদ্ধার করতে সক্ষম হয় হামজা। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট পর্যন্ত জাহাজ হামজা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে পাঁচটি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করে। পরে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় দিনে শুক্রবার সকাল 8টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ফেরির ভেতর থেকে তিনটি যান উদ্ধার করতে সক্ষম হয় হামজা।
বিএসডি /আইপি