আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় তাইগ্রেতে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী। তাইগ্রের মাই সেবরি শহরে এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন বলে মঙ্গলবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দু’জন ত্রাণ কর্মী জানিয়েছেন।
এর আগে, গত শুক্রবার ইথিওপিয়ার এই অঞ্চলে বাস্তুচ্যুতদের একটি আশ্রয় শিবিরে বিমান হামলায় ৫৬ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হন। বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহত এবং ভোগান্তির বিষয়ে সোমবার টেলিফোনে আলাপকালে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মাই সেবরি শহরে বিমান হামলার ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল গেটনেট আদানে এবং সরকারের মুখপাত্র লিগেসে তুলু তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
তাইগ্রে বিদ্রোহীদের সঙ্গে গত ১৪ মাসের সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইথিওপিয়ার সরকার। দেশটির প্রেসিডেন্ট আবি আহমেদ সরকারের ফেডারেল বাহিনী এবং ইরিত্রিয়া-সমর্থিত আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে।
ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর টিপিএলএফের ২৭ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে ২০১৮ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেন আবি আহমেদ। কিন্তু তারপরও তাইগ্রে অঞ্চলের ক্ষমতায় ছিল দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী টিপিএলএফ।
২০২০ সালের নভেম্বরে এই অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে টিপিএলএফের নতুন করে সংঘাত শুরু হয়। এই সংঘাতের জন্য উভয়পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করেছে।
সূত্র:রয়টার্স।
বিএসডি/ এলএল