এর মানে তো দাঁড়ায়, গোটা ম্যাচেই বসুন্ধরার আক্রমণ ঠেকিয়ে যাবে মোহনবাগান। কোনোমতে একটা ড্রই তো তাদের জন্য যথেষ্ট। বসুন্ধরার তিন বিদেশিকে ঠেকাও, ব্যস যথেষ্ট—এটাই কি মোহনবাগানের কৌশল? হাবাস অবশ্য ‘গোল না খাওয়া’ বলতে সেটি বলতে চাননি, ‘গোল না খাওয়া মানে এই না যে আমরা কোনো আক্রমণ করব না। নিজেদের ঘর গুছিয়ে যতটা সম্ভব করব। আমাদের আক্রমণ ও রক্ষণের মধ্যে একটা ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে। আমরা সবাই জানি ম্যাচটা কত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলের সবারই এ ম্যাচে নিজেদের শতভাগ দিতে হবে।’
বসুন্ধরা-মোহনবাগান লড়াইটা তপু বর্মণের দৃষ্টিতে ‘বাংলাদেশ-ভারত লড়াই’। এটি দুই স্প্যানিশের লড়াইও। মাঠে খেলোয়াড়েরা খেলবেন, কিন্তু মাঠের বাইরে কৌশলের লড়াইয়ে থাকবেন দুই স্প্যানিশ—বসুন্ধরার অস্কার ব্রুজোন আর মোহনবাগানের হাবাস। বসুন্ধরার কোচ ব্রুজোন অবশ্য তপু বর্মণের মতো ‘বাংলাদেশ-ভারত লড়াই’ বলে চাপ তৈরি করতে চাইছেন না দলের ওপর। তাঁর সোজাসাপ্টা কথা, এ ম্যাচে মোহনবাগান এগিয়ে। এখন ‘এগিয়ে থাকা’ দলের বিপক্ষে যে ধরনের ফুটবল খেলতে হয়, জিততে হলে ব্রুজোন দলের কাছ থেকে সে ধরনের ফুটবলই চান, ‘মোহনবাগান এ ম্যাচে কিছুটা এগিয়ে আছে বলে আমি মনে করি। আমাদের জিততে হলে তাদের ওপর বেশ চাপ তৈরি করে খেলতে হবে। যদি আমরা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খেলতে পারি এবং সুযোগ কাজে লাগাতে পারি, তাহলে ৩ পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব।’
মোহনবাগান কোচ হাবাসও দলকে ফেবারিট-তত্ত্বের চাপ নিতে চান না। প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা কিংসের প্রতিও তাঁর থাকছে বাড়তি শ্রদ্ধা, ‘আমি “ফেবারিট”–তত্ত্বে বিশ্বাসী নই। ফুটবল খেলাটা এত সহজ নয়। আমাদের দলে ভালো পেশাদার খেলোয়াড় আছে। তারা খুবই সুশৃঙ্খল ও কৌশলী ফুটবলার। তবে বসুন্ধরা কিংস বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল। তাদের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। তারা খুবই ভালো দল। একটা ভালো ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করতেই পারেন সবাই।’