দ্বিতীয় দিনটা কিছুতেই ভালো হচ্ছে না বাংলাদেশের। শুরুর সেশনে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বড় রানের আশা শেষ হয়েছে মুমিনুল হকের দলের। এরপর দ্বিতীয় সেশনটাতেও উপহার মিলেছে একরাশ হতাশাই। ৩৩০ রানে অলআউট হয়ে বোলিংয়ে নেমে যে প্রথম সেশনটাতে উইকেটশূন্যই থাকতে হয়েছে বোলারদের!
দিনের শুরু থেকে পাকিস্তান খেলে চলেছে বেশ দাপটের সঙ্গেই। আগের দিন ভিডিওবার্তায় হাসান আলি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশকে অল্পেই বেধে রাখতে চান। সেই দায়িত্বটা তিনি আজ সকালে নিয়েছেন নিজ কাঁধেই। আগের দিনের এক উইকেটের সঙ্গে আজ তার ঝুলিতে গেছে আরও চারটি শিকার। তাতেই বাংলাদেশের বড় রানের আশা শেষ হয়ে গেছে। গুটিয়ে গেছে মাত্র ৩৩০ রানেই।
এরপর পাকিস্তান জবাব দিতে নেমে ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক, আর আবিদ আলি শুরু থেকেই খেলেছেন নিখুঁত ক্রিকেট। স্থিতধী শুরুর পর ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন দুজনে।
দুজন যে একেবারে নিখুঁত ছিলেন, বিষয়টা মোটেও তেমন নয়। ব্যক্তিগত ৯ রানেই ফিরতে পারতেন শফিক। ১৩তম ওভারে তাইজুল ইসলামের করা বল সরাসরি গিয়ে আঘাত হানে তার প্যাডে। লিটনের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে তাইজুলের পক্ষে থেকেও আসেনি আবেদন, করেননি রিভিউও। ফলে সে যাত্রায় রক্ষা পায় পাকিস্তান।
সেশন শেষের আগে সেই আবিদ করেন ২৯ রান, আর অপর দিকে আবিদ তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি, তিনি অপরাজিত আছেন ৫২ রানে।
বিএসডি/এসএসএ